পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইন্দোনেশিয়া থেকে অত্যাধুনিক ২৫০টি রেলকোচ কিনেছে বাংলাদেশ। যা থেকে এই আগামী মাসেই প্রথম চালানে ১৮টি কোচ আসবে।
ইন্দোনেশিয়ান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেল প্রস্তুতকারক পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা) বলছে, তাদের কোম্পানি থেকে নেয়ার জন্য অতিরিক্ত মজবুত ও অত্যাধুনিক ২৫০টি রেলকোচের অর্ডার করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে ২৭০টি কোচ আমদানী করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কোচগুলো তুলনামূলক মানসম্মত ও উন্নত।
ইনকার ফিনিশিং ম্যানেজার আগুং বুদিয়ানো বলেন, বাংলাদেশের অর্ডার করা ২৫০টি কোচের মধ্যে আসছে নভেম্বরেই প্রথম চালানে বাংলাদেশে যাবে ১৮টি। যার মধ্যে রয়েছে ইকোনমি ও এক্সিকিউটিভ ক্লাস, রেস্টুরেন্ট এবং স্লিপার সুবিধা।
গত বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ইনকার ফিনিশিং ম্যানেজার আগুং বুদিয়ানো কোচগুলো পরিদর্শনে কারখানায় যান। এসময় সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এসব কোচ অনেক বড় আকারের এবং শক্ত বা মজবুত অবকাঠামোতে নির্মাণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘন ওয়াল এবং ছাদ করা হয়েছে তাতে। যা অন্যান্য কোচের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ মজুবত এবং আধুনিক হবে।
তিনি বলেন, রেলে যখন যাত্রীতে ভিড় লেগে যায় তখন আসন না পেয়ে অনেকেই ছাদে উঠে যান। আর সেজন্য এসব কোচের ছাদগুলো ঘন (মজবুত) করে তৈরি করা হয়েছে। কেননা, ইন্দোনেশিয়ায় রেল ভ্রমণে আসন না পেয়ে অনেককেই ছাদ ব্যবহার করতে দেখা যায়। যদিও এটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।
বাংলাদেশর জন্য প্রস্তুত করা ওই কোচগুলো বড় আকারের পাশাপাশি অনেক লম্বাও করা হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করেন আগুং বুদিয়ানো। তিনি বলেন, কোচগুলোর প্রত্যেকটিতে রাখা হয়েছে ৯০টি আসন। যা সাধারণত ৬৪ আসনের থাকে। ইন্দোনেশিয়ায় ৬৪ আসনের কোচই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া বাংলাদেশে যদি একটি ট্রেনে ২২টি কোচ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে এটার সমান আসন বা লম্বা করতে হলে নতুন অত্যাধুনিক ওই কোচগুলোর ১৬টি যোগ করলেই হবে।
দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিশনের চতুর্থ বিভাগের পরিবহন কর্মকর্তা আজম আজমান এসব কোচ নির্মাণে ইনকার অনেক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কোচগুলো চাহিদা এবং রফতানিযোগ্য করে প্রস্তুুত করতে সক্ষম হয়েছে ইনকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।