পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনার রাজপথে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্ষীনহলেও বিএনপি’র কাঁধে এখন মামলার খড়গ। গত দুই সপ্তাহে কেবলমাত্র খুলনা মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১১ মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মীকে। আর গত ১ মাসে মামলা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে।এরই মাঝে ‘আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি’ দুই টার্গেটে মাঠে নেমেছে বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এসব মামলা নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় শীর্ষ নেতারা।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিদিনই মহানগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে চলছে নির্বাচনী ক্যাম্পইন সমাবেশ ও মিছিল। বিভিন্ন স্থানে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা রাজনীতির মাঠ দখল করতে চালাচ্ছে শোডাউন। এসব কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছেন। সবমিলিয়ে বড় দুই দলের নির্বাচনমুখী এসব তৎপরতাকে ঘিরে এরই মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খুলনার রাজনীতি।
সূত্রমতে, গত এক মাসে বিএনপি’র সাড়ে তিন হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। দলটির সিনিয়র নেতারা এরই মধ্যে এ সব মামলাকে ‘গায়েবি’ মামলা আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বিএনপির অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। অপরদিকে বিএনপিকে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখতে ‘মিথ্যা, গায়েবি ও ভৌতিক’ মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোনো কারণ কিংবা ঘটনা ঘটা ছাড়াই অযথা মিথ্যা মামলা দায়ের করে, নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি অভিযান, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গ্রেফতার করছে। খুলনা মহানগরীর থানাগুলোতে আগের মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান করার পরেও নতুন করে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়ের করায় মহানগর বিএনপি বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছে।
তবে পুলিশের দাবি, সরকারবিরোধী কাজ, পুলিশের কাজে বাধা-হামলা, ভাঙচুরের দায়ে এসব মামলা করা হচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে বা কঠিন ধারায় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে- বিএনপির এমন অভিযোগ সত্য নয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর এক রাতে মহানগরীর সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা করেছে।
মহানগরীর ৫টি থানা ও এজাহার থেকে জানা গেছে, মহানগরীর সদর থানায় দায়ের করা মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘৪ অক্টোবর বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে পিকচার প্যালেস মোড়ে আসামিরা একত্রিত হইয়া বিক্ষোভ, ইজিবাইক ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা করেছেন।’
এ মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর রাত ৯টা ৪০মিনিটের সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার একটি কেপিআই এলাকা ধ্বংসের চেষ্টা ও সহায়তায় অভিযোগে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রণজিত কুমার বিশ্বাস।
দৌলতপুর থানায় দায়ের করা মামলার বাদী আসাদুজ্জামান নূর। এ মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১৪০/১৫০ জনকে। মহানগরীর খালিশপুর থানায় দায়ের করা মামলার বাদী এসআই হাতিম আলী। ৮/৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, খুলনা জেলা ও মহানগরে ২১টি গায়েবি মামলা করে প্রায় তিন হাজারের মতো নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনায় প্রতিদিনই আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান জানান, খুলনার সবগুলো আসনেই সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আসনগুলোতে যারা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তারাই মনোনয়ন পাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।