Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন অনিবার্য

কমাতে হবে গোশত ও প্রাণিজ খাদ্যের ব্যবহার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আবহাওয়া পরিবর্তন রোধ, বিশ্বের কৃষি ব্যবস্থার সংরক্ষণ ও খাদ্য উৎপাদন স্থিতিশীল রাখতে কমাতে হবে গোশত ও অন্যান্য প্রাণীজাত খাদ্যের ব্যবহার। এর বদলে গুরুত্ব দিতে হবে বাদাম, বীজ, ডালের মতো নিরামিষের ওপর। খাদ্য উৎপাদনে পালন করা পশু থেকে যে পরিমাণ গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয় তা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা অন্যতম একটি বড় উৎস। ‘নেচার’ সাময়িকীটিতে প্রকাশিত নিবন্ধে লেখা হয়েছে, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পশ্চিমা দেশগুলোতে গরুর গোশত খাওয়া কমাতে হবে ৯০ শতাংশ। দুধ খাওয়া কমাতে হবে ৬০ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে খাদ্য হিসেবে শূকরের ব্যবহার কমাতে হবে ৯০ শতাংশ। এর বদলে শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে মাত্র পাঁচ গুণ। তাছাড়া এক হাজার কোটি হতে চলা বিশ্বের জনসংখ্যার খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে কৃষি ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনও অনিবার্য। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে বিশ্ববাসীর হাতে মাত্র অল্প কয়েক বছর সময় রয়েছে। খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে এমনিতেই আবহাওয়ার অনেক ক্ষতি হয়। কারণ পালিত পশু থেকে উৎপাদিত গ্রিন হাউজ গ্যাস, বন উজাড় করে ফেলা, সেচের কারণে পানি খরচ করা এবং কীটনাশকের কারণে সমুদ্রে পানিতে অক্সিজেন নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। বিশ্বের বেশ কিছু সমুদ্রাঞ্চলে অক্সিজেন স্বল্পতা এমন অবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে সেখানে মাছসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীদের বেঁচে থাকা অসম্ভব। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে এর সম্পর্ক হচ্ছে: গ্রিন হাউজ গ্যাসের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। আর বর্ধিত তাপমাত্রার জন্য পানি ও হয়ে উঠছে গরম। কিন্তু গরম পানিতে অক্সিজেন খুব কম থাকতে পারে। সমুদ্রের পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতার আরেকটি কারণ সেখানে ফেলা বর্জ্য। এখনই যদি পদক্ষেপ নেওয়া না হয় তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ আরও ২৩০ কোটি মানুষের বাড়লে অবস্থা হবে সঙ্গিন, কারণ সে সময় আয় বাড়বে তিনগুণ। স্বাভাবিকভাবেই গোশতের চাহিদাও বাড়বে। তাই এখন থেকেই নিরামিষ খাদ্যে অভ্যস্ততার ওপর গুরুত্ব আরোপের তাগাদা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নেচার সাময়িকীতে গবেবষণা প্রতিবেদনটি এমন এক সময় প্রকাশিত হলো যখন বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে গুরুতর শঙ্কার কথা আলোচিত হচ্ছে। গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষি

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ