Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

টেকসই উন্নয়নে তামাক নিয়ন্ত্রণের উপায় খোঁজা হবে

প্রকাশের সময় : ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এ অঞ্চলের স্পিকাররা ঢাকায় এক সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন, যেখানে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপায় খোঁজা হবে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এই ‘সাউথ এশিয়ান স্পিকার্স সামিট ২০১৬’। সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে।
ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী গতকাল তামাকবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান। আইপিইউ আয়োজিত সম্মেলনে আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের স্পিকার এবং শ্রীলংকার ডেপুটি স্পিকার যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) সহায়তায় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সাবের হোসেন জানান, সম্মেলনের আলোচনায় পাঁচটি বিষয় প্রাধান্য পাবে। এগুলো হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় এসডিজির গুরুত্ব, এসডিজি বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনায় পার্লামেন্টগুলোর ভূমিকা, এসডিজির স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি সংক্রান্ত গোল-৩ এর অধীন সুযোগসমূহ, তামাক মহামারির বর্তমান অবস্থা ও নিয়ন্ত্রণে কৌশল নির্ধারণ, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নীতিকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
সাবের হোসেন বলেন, এসডিজির যে ১৬৯টি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে, তার মধ্যে তামাকের ভয়াবহতা বিবেচনায় ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি বাস্তবায়ন অন্যতম। তাই সুতরাং এফসিটিসি বাস্তবায়ন এখন আর বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়। উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসডিজি অর্জন করতে চাইলে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশের সরকারগুলোকে এফসিটিসি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এফসিটিসি বাস্তবায়ন ছাড়া এসডিজির তৃতীয় লক্ষ্যমাত্রা ‘স্বাস্থ্যসম্মত জীবনমান নিশ্চিতকরণ এবং সব বয়সের সকলের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা’ সম্ভব নয়। এসডিজির অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও তামাক একটা বড় ধরনের বাধা, যা এফসিটিসি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই অপসারণ করতে হবে। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী তামাক এখন এক মহামারির নাম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশসহ ৮টি দেশে এক তৃতীয়াংশ (৩৪ দশমিক ৮%) তামাক ব্যবহারকারী বসবাস করে যার সংখ্যা প্রায় ৩৮৪ মিলিয়ন।
এসব দেশগুলোতে তামাক ব্যবহারজনিত স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ। পরিসংখ্যান মতে, শুধু ভারত ও বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে ১১ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যুর পরিমাণ বছরে ৮০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এর ৮০ ভাগই হবে বাংলাদেশসহ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টেকসই উন্নয়নে তামাক নিয়ন্ত্রণের উপায় খোঁজা হবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ