পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী ধানের নতুন দু’টি জাত উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। বিজ্ঞানীরা নতুন এই দুটি জাতের নাম দিয়েছেন ব্রি ধান-৮৮ ও ব্রি ধান-৮৯। ব্রি ধান-৮৮ নামে নতুন জাতটির ফলন একই মৌসুমের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রি ধান-২৮’র চেয়ে হেক্টরে অধা টন বেশি। আর ব্রি ধান-৮৯ নামে জাতটির ফলন হবে ব্রি-২৯’র চেয়ে প্রতি হেক্টরে এক টন বেশি।
শুধু তাই নয়, উপযুক্ত পরিচর্চা পেলে এই জাতটির ফলন হতে পারে নয় টনের চেয়েও বেশি। সারাদেশে ব্রি উদ্ভাবিত নতুন দু’টি জাত ছড়িয়ে পড়লে ধান উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় নতুন এই জাত দু’টি অনুমোদন পায়। সভায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং বীজ বোর্ড ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, বীজ বোর্ডের সভায় চূড়ান্তভাবে ব্রি ধান-৮৮ ও ব্রি ধান-৮৯ নামে নতুন দু’টি জাত অনুমোদন পেয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-৮৯ এর ফলন হবে প্রচলতি ব্রি-২৯ এর চেয়ে প্রতি হেক্টরে এক টন বেশি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাতটিতে সাড়ে ৮ টন পর্যন্ত ফল পাওয়া গেছে। আর ব্রি ধান-৮৮ এর ফলনও প্রচলতি ব্রি ধান ২৮ এর চেয়ে প্রতি হেক্টরে আধা টন বেশি হবে। উদ্ভাবিত নতুন দু’টি জাত দেশের ধান উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে প্রত্যাশা করছেন ড. শাহজাহান কবীর। ব্রি’র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তমাল লতা আদিত্য বলেন, ব্রি ধান-৮৮ টিস্যু কালচার পদ্ধতিত উদ্ভাবিত। জাতটিতে রোগ বালাইয়ের প্রকোপ যেমন কম, তেমন ফলনও বেশি। ধান পাকার পরও এর গাছ হেলে পড়ে না, তাই হাওর অঞ্চলেও জাতটি চাষ করা যাবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্রি ধান-৮৮ বোরো মৌসুমের স্বল্পমেয়াদি একটি জাত, যা প্রচলিত ব্রি ধান-২৮’র পরিপূরক। এর জীবনকাল ব্রি-২৮’র মতোই। হালকা ঝড়-বৃষ্টিতে ঝরে পড়বে না। এর ফলন ব্রি-২৮’র চেয়ে আধা টন বেশি। ফলন হবে ৬ থেকে ৭ টন। সারাদেশে এর গড় ফলন হবে ৭ টন। ধান পাকার পর ব্রি-২৮’র বীজ পাতা হেলে গেলেও ব্রি-৮৮’র ক্ষেত্রে পাতা খাড়া থাকবে। ধান পাকার পরও গাছ সোজা থাকায় রিপার মেশিন ব্যবহার করা যাবে। যে কারণে ধারণা করা হচ্ছে, হাওর অঞ্চলে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এই চালের ভাত হবে ঝরঝরে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে ব্রি-২৮’র বেশি চাষ হয়-খুলনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের চাষিরা এই জাত চাষ করে সুফল পাবেন। নতুন জাতে রোগ বালাইয়ের প্রকোপ কম।
বিজ্ঞানীরা আরও জানান, বোরো মৌসুমের নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৮৯ একই মৌসুমের ব্রি-২৯’র পরিপূরক। নতুন জাতটির ফলন হবে প্রচলিত ব্রি-২৯’র চেয়ে এক টন বেশি। গড়ে যার ফলন হবে আট টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্চা পেলে জাতটি ৯ দশমিক ৭ টন পর্যন্ত ফলন দিতেও সক্ষম। আর জাতটির জীবনকাল ১৫৪ থেকে ১৫৮ দিন, যা ব্রি-২৯’র চেয়ে ৩ থেকে ৫ দিন কম। সারাদেশেই এটি চাষযোগ্য। এই চালের ভাত হবে ঝরঝরে এবং খেতে সুস্বাদু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।