Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বোরো চাষে যান্ত্রিকীকরণ

কটিয়াদীর কৃষক খুশি

মো. আবদুল কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৬ এএম

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে কৃষকদের উৎসাহিত করতে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে। বীজবপন, চারারোপণ, সার প্রয়োগ, শস্য কর্তন, শস্য মাড়াইসহ বোরো চাষের প্রতি স্তরে ব্যবহার করা হবে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির। যন্ত্রের মাধ্যমে কম সময়ে, কম শ্রমিকে খুব সহজে বোরো ধানের চাষ করতে পেরে খুশি কৃষক। প্রথমবারের মত উপজেলায় বোরো আবাদে প্রতিটি স্তরে যন্ত্রের ব্যবহার কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৬২ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে একই জাতের বোরো ধান একই সময়ে আবাদ করা হবে। কৃষকেরা যন্ত্রের সাহায্যে একসঙ্গে সমবায় ভিত্তিতে বপন, রোপণ ও কর্তন করবেন এই ধান। তাই এর নাম দেয়া হয়েছে ‘সমলয় চাষবাদ’। এ প্রকল্পের বীজ, সার এবং যান্ত্রিক সহযোগিতা সবকিছু কৃষি বিভাগ প্রদান করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সারি-সারি সাজানো গোছানো বোরো ধানের বীজতলা। প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজধান বপন করে তৈরি করা হয়েছে এ বীজতলা। বীজতলা থেকে চারাগুলো যন্ত্রের সাহায্যে রোপণ করা হচ্ছে জমিতে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুকশেদুল হক, উপজেলার বিভিন্ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় কৃষকেরা।
এ সময় কৃষক শাহ মো. শাহানশাহ বলেন, প্রতি বছরই বোরো ধান রোপণ ও কর্তনের সময় এ অঞ্চলে কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দেয়ায় ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। সনাতন পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে শুধু রোপণ করতেই খরচ হয় প্রায় ২ হাজার টাকা, এখন যন্ত্রের সাহায্যে একই পরিমাণ জমিতে রোপণ খরচ হবে ৫০০ টাকা মত। এতে কৃষকের ব্যয় কমে আসছে। যন্ত্রের সাহায্যে রোপণ, কাটা, মাড়াই সব হওয়ায় বোরো আবাদ সহজ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মুকশেদুল হক বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষক পর্যায়ে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের প্রকল্পটি চালু করেছে। যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদের ফলে একদিকে কৃষকের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়, অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। আগামী কয়েক বছরে এ অঞ্চলে কৃষি বড় পরিসরে যান্ত্রিকীকরণের আওতায় চলে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বোরো চাষে যান্ত্রিকীকরণ

২৪ জানুয়ারি, ২০২২
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ