পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ এবারও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসার শিক্ষার্থীর সঙ্গে ব্যাপক বৈষম্য করেছে। পুরো অনুষদটির আসন বন্টনে দেখা গেছে ৩৩৭টি আসনের মধ্যে মাদরাসা আর কারিগরি বোর্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র ১৩টি আসন রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ছেলেদের জন্য ১১টি আর মেয়েদের জন্য কেবল ২টি আসন। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত কলা ও মানবিকী অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল বিশ্লেষণ এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে এই অনুষদটির ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক গত ৮ সেপ্টেম্বর ইনকিলাবের জাবি প্রতিনিধির সাথে মোবাইলে আলাপকালে বলেছিলেন, ‘২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো বৈষম্য করা হবে না। মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতা করে চান্স পেলেই ভর্তি হতে পারবে। কিন্তু তিনি তার সে কথা রাখেননি।’
জানা যায়, ২০১৫ সাল থেকে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কলেে মতই ২০০ নম্বর করে বাংলা আর ইংরেজি পড়ে। যার ফলে ওই বছর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাদরাসা শিক্ষার্থীদেরকে কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথেই মূল্যায়ন করা শুরু করে। তাতে করে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা চান্স পেলেই যে কোনো বিষয়ে পড়ার সুযোগ পায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ২০০ নম্বর পড়ার পরও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করেই যাচ্ছেন ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ’।
এই অনুষদটি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ফলাফল কারিগরি বোর্ডের সাথে সংযুক্ত করেছেন। অথচ কারিগরি বোর্ডের সিলেবাসের সাথে মাদরাসার সিলেবাসের কোন মিল নেই। সে হিসেবে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে ভর্তি হওয়ার কথা। কিন্তু কোন যুক্তি ছাড়াই মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সাথে এইভাবেই বৈষম্য করছে অনুষদটি।
এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ভর্তিচ্ছু কয়েকজনের অভিভাবক বলেন, ‘কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ও আইনত ভিত্তি ছাড়াই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদেরকে তাদের প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, কলা ও মানবিকী অনুষদে সাতটি বিভাগের বিপরীতে মাদরাসা ও টেকনিক্যাল বোর্ডের ২ জন ছাত্রী রাখার বিষয়টি প্রশাসনিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বৈষম্যের প্রমাণ দেয়।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আর কোন অনুষদে এমন বৈষম্য নেই। শুধু মাত্র কলা ও মানবিকী অনুষদে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বৈষম্যের কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘বিভাগগুলো মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের নিতে চাননা। তাই বিভাগগুলো যে চাহিদা দিয়েছে সে আলোকেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে বৈষম্য না হয়। কিন্তু বিভাগ না নিলে আমার কিছুই করার থাকে না।’
তবে এই বিষয়ে ওই অনুষদের কয়েকটি বিভাগের সভাপতির সাথে কথা হয়। তারাও বৈষম্যের চিত্র দেখে অবাক হয়ে বলেন, ‘এটা কিভাবে হতে পারে! মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষার্থীদের মত সমান পড়াশুনা করেও, ভর্তি হতে পারবেনা এটা কেমন কথা। আসলে এই বিষয়টি ডিন আমাদের নজরে আনলে এমনটা হত না। এখনও সুযোগ আছে যদি ডিন চান তাহলে সংস্কার করে এই বৈষম্য বাতিল করা সম্ভব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।