মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মেক্সিকোয় সম্প্রতি এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনেকদিন ধরে নারীদের হত্যা করে তাদের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এই দম্পতি অন্তত ২০টি হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে পুলিশ ধারণা করছে।
খবরে জানানো হয়, হুয়ান কার্লোস এবং তার সঙ্গী প্যাট্রিসিয়া দম্পতি গ্রেপ্তারের পর অন্তত ২০জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাদের ফ্লাট এবং কাছাকাছি একটি জায়গায় মানব শরীরের টুকরো খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ একটি বালতি এবং ফ্রিজে রাখা ছিল।
তদন্তকারীরা বলছেন, এই দম্পতি শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন, কিন্তু কাদের কাছে বিক্রি করতেন, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
নারীদের হত্যা করা মেক্সিকোতে নতুন কোন ঘটনা নয়, যার জন্য বেশিরভাগ সময় কোন বিচার হয় না। কিন্তু এই ঘটনার ভয়াবহতা প্রকাশ পাওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দেশটি। মেক্সিকো সিটির শহরতলীর সড়কে অনেকে বিক্ষোভ করেছেন।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ন্যান্সি হুইট্রন এবং তার দুই মাস বয়সী সন্তান, ভ্যালেন্টিনা। গত ৬ই সেপ্টেম্বর বড় দুই সন্তানকে স্কুলে দিয়ে আসার পর থেকে ন্যান্সি আর তার ছোট সন্তানের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তিন সন্তানের মা ন্যান্সি এতদিন নিখোঁজে প্রতিবেশীদের সন্দিহান করে তোলে এবং তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই দম্পতি একটি বাচ্চা বহনের ট্রলি বা প্রাম ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে তারা দেখতে পান। পুলিশ তাদের থামিয়ে সেটি তল্লাশি করলে তার ভেতর মানব শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখতে পায়।
মিজ হুইট্রনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন হুয়ান কার্লোস। সে স্বীকার করেছে যে, ২৩ বছরের অর্লেট অলগুইন এবং ২৯ বছরের ইভলিন রোহাসকেও তারা হত্যা করেছে। এই তিনজনই গত কয়েকমাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। শিশু ভ্যালেন্টিনাকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ, যাকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছিল। সে এখন তার নানীর সঙ্গে রয়েছে।
কৌসুলিরা জানিয়েছেন, সে আরো স্বীকার করেছেন যে, হত্যার আগে কোন কোন নারীকে তারা যৌন নির্যাতনও করেছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার নারীরা কার্লোস এবং প্যাট্রিসিয়ার কাছ থেকে পোশাক এবং খাবার কিনতেন। ভালো কাপড় রয়েছে, এরকম তথ্য দিয়ে এই নারীদের একটি জায়গায় নিতে আসতেন প্যাট্রিসিয়া। এরপর তাদের হত্যা করা হতো।
মেক্সিকো স্টেটে দেশটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নারীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে ৩৯৫ জন মানুষ নিখোঁজ হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০৭ জনই নারী। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসবের কোন সমাধান বা বিচার হয় না। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।