Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৌসুমের শুরুতেই কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড়

শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আশ্বিন মাস এখনো শেষ হয়নি। প্রতিনিদিন প্রচন্ড গরমের মাত্রা উঠানামা করছে। শীত আসতে আরো মাস দেড়েক বাকি। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে পর্যটন মৌসুম অক্টোবর মাস। নভেম্বরেই একযোগে সারা দেশে শুরু হবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষা। এর পর কক্সবাজারে নামবে পর্যটকের ঢল। হোটেল, মোটেল, রেস্ট হাউজ-গেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্টগুলোতে অতিথিদের স্বাগত জানাতে কাজ চলছে। এরই মধ্যে ভ্রমণ পিয়াসীরা আসতে শুরু করেছেন পর্যটন শহর কক্সবাজারে। সৈকতের র্নিমল বাতাসে ঘুরে বেড়াতে আর সাগরের শীতল পানির ছোঁয়া নিতে তারা ছুটে আসছেন কক্সবাজারে। মৌসুমের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড়। শুরুটা ভাল হওয়ায় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এবারের পর্যটন মৌসুমটি ভাল যাবে।
অতীতে পর্যটন মৌসুম ছাড়া (অক্টোবর-মার্চ) অফ সিজনে হোটেল, মোটেল, রেস্ট হাউজ-গেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্টগুলোতে রাতে বাতিও জ্বলতনা। এখন সারা বছরই পর্যটক থাকেন কক্সবাজারে। আগে বিদেশী পর্যটক হাতে গুনা আসলেও রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে এখন হাজার অধিক বিদেশী তো কক্সবাজারেই অবস্থান করেন। একই কারণে ভিআইপি, ভিভিআইপি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কিন্তু কক্সবাজার যাতায়াত করে থাকেন সারাবছর। এছাড়াও কক্সবাজারে হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু ও ফুটবল ভেন্যু। গতকাল থেকে কক্সবাজার বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। গতকাল পাঁচ তারাকা হোটেল সী-গাল লবীতে এ বিষয়ে কথা হয় ওই হোটেলের সিইও শেখ ইমরুল ইসলাম ছিদ্দিকী রুমীর সাথে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যটক আগমনের ধারা পাল্টেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে ভিআইপি, ভিভিআইপি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ কিন্তু কক্সবাজার যাতায়াত করছেন আগের চেয়ে বেশী। এতে করে অফ সিজনেও ভাল পর্যটক আসেন। তাছাড়া সামনে পরিস্থিতি শান্ত থাকলে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
হোটেল, মোটেল, রেস্ট হাউজ-গেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্ট সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ টুরিজম ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার বলেন, এই পর্যটন মৌসুমেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে সহিংস কিছু না হলে পর্যটন মৌসুম ভাল যাবে বলেই আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। তিনি বলেন, ১২০টির মত রেস্টুরেন্ট ও তিন শতাধিক হোটেল, মোটেল, রেস্ট হাউজ-গেস্ট হাউজ প্রস্তুত রয়েছে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে।
কয়েকটি তারাকা হোটেল ও প্রথম শ্রেণীর হোটেলে খাবর নিয়ে জানা গেছে, তাদের এখন থেকে অগ্রীম বুকিং শুরু হয়েছে। তবে তারা শঙ্কায় রয়েছেন নির্বাচন কালীন সহিংস কোন অঘটন নিয়ে। তাদের মতে যে কোন সহিংস পরিস্থিতি পর্যটন শিল্পে মারাত্মক বিরোপ প্রভাব পড়তে পারে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত আমাদের জাতীয় সম্পদ। নিরাপত্তার কারণেই এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে থাকেন। এবারো সৈকত এলাকায় পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তিনি নির্ভয়ে পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমণের আহবান জানান।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটন মৌসুমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি কক্সবাজার থেকে মাদকের বদনাম ঘুচাতে মাদকের ছড়াছড়ি রোধেও নজর রাখা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ