পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুড়িগ্রামে তীব্র হচ্ছে দুধকুমার নদীর ভাঙন। ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা এবং দেড়শ মিটার আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। হুমকিতে মুখে একটি স্কুল, কমিটিউনিটি ক্লিনিক ও মাদরাসা। যে কোন সময় নদীগর্ভে প্রতিষ্ঠানগুলো বিলীন হয়ে যেতে পারে। গত দু’মাস ধরে ক্রমান্বয়ে আগ্রাসী রুপ ধারণ করা এ ভাঙনে আড়াই শতাধিক বাড়ীঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ জিও ব্যাগ দিয়েই ভাঙনে ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে। ভাঙন কবলিত গৃহহীন মানুষগুলো এখন অন্যের বাড়িতে কিংবা খোলা আকাশে নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিপুল সংখ্যক গৃহহীন নিঃস্ব এ মানুষদের দেখার যেন কেউ নেই। সরকারিভাবে ঢেউটিন ছাড়া আর কিছুই কপালে জুটছে না তাদের।
গতকাল রোববার সকালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নুনখাওয়া ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ভাঙন কবলিতরা তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সড়িয়ে নিচ্ছে। কেউবা কাটছে গাছপালা। গ্রামে যাওয়ার একমাত্র সেমিবাঁধ রাস্তাটির অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে। চলছে তীব্র ভাঙন। বাঁধ সংলগ্ন বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালমারী কমিউিনিটি ক্লিনিক ও বোয়ালমারী দাখিল মাদরাসা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। যে কোন সময় দুধকুমার নদীর পেটে চলে যেতে পারে প্রতিষ্ঠান তিনটি। ওই গ্রামের জহুর আলী, নজরুল ও রোস্তম জানান, জায়গা জমি যা আছিল। নদী খায়া গেল। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই।
বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, সামনে বাৎসরিক সমাপণী পরীক্ষা। স্কুলটি ভেঙে গেলে শিক্ষার্থী নিয়ে চরম বিপদে পরে যাবো। এছাড়াও তিনি জানান, স্কুল ভবনটি নিলামের জন্য গত ২৬ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, ভাঙনের খবর আমরা পেয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি সবাই মিলে ভাঙন রোধ করতে সক্ষম হবো।
এদিকে সিরাজগঞ্জে মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা ৩নং ক্রসবাঁধের দুটি স্থানে ধসে ৫০মিটার যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ শহরের মালশাপাড়া মহল্লায় নির্মিত ক্রস বাঁধটিতে এ ধ্বস নামে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যমুনার পানি কমতে থাকায় বাঁধের নিচের অংশ থেকে মাটি সরে গিয়ে ধ্বস শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ধ্বসে যাওয়া অংশগুলোতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজ শুরু করা হয়েছে। পানি কমে গেলে বাঁধের ধসে যাওয়া অংশগুলো সংস্কার করা হবে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড শহরের ৪টি পয়েন্টে ক্রস বাঁধ নির্মাণ করে। ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৮২ মিটার দীর্ঘ এ ক্রসবাঁধটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের জুন মাসে বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।