মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অবৈধ অভিবাসী, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও নেপালের কথিত অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে বহিস্কারের লক্ষ্যে আসামে যে জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) তৈরির প্রক্রিয়া চলছে তা নিয়ে বিতর্ক থামার কোন লক্ষণ নেই।
বিজেপি’র সভাপতি অমিত শাহ সম্প্রতি বাংলাদেশী অভিবাসীদের ‘ঘুণপোকা’র সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন যে খুঁজে খুঁজে প্রত্যেক অবৈধকে বহিস্কার করা হবে। প্রায় ৩৩ মিলিয়ন এনআরসি আবেদনকারীর মধ্যে ৪০ লক্ষ নাম খসড়া তালিকায় স্থান পায়নি। যা বিপুল বিতর্ক ও রাজনৈতিক গোলযোগের আশংকা তৈরি করেছে। যাদের নাম তালিকায় স্থান পায়নি তারা আবারো দাবি জানিয়ে আবেদন করছেন। কিন্তু সবচয়ে বড় প্রশ্নটি হচ্ছে এরপরও যাদের আবেদন খারিজ হয়ে যাবে তাদের নিয়ে কি করা হবে? তাদেরকে কি বহিস্কার করা হবে? কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করেনি এখনো এবং বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে ভারতের কোন প্রত্যাবাসন চুক্তিও নেই। যারা অবৈধ বিবেচিত হবে তাদের জন্য এক দীর্ঘ কষ্টকর যাত্রার সূচনা হলো মাত্র।
শরণার্থী প্রশ্নে ভারতের অবস্থান: জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী বিষয়ক কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের প্রোটকলে ভারত সই করেনি। এসব কনভেনশন ও প্রোটকলে শরণার্থীদের অধিকার রক্ষা করা হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার বলেন, ‘ভারতের কোন জাতীয় শরণার্থী সুরক্ষা ফ্রেমওয়ার্ক নেই। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর বিপুল সংখ্যক নাগরিককে সে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে এবং অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রতি ইউএনএইচসিআর’র ম্যান্ডেটকে সম্মান করছে।’
ভারতের শরণার্থী ইস্যুটি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ১৯৩৯ ও ১৯৪৬ সালের বিদেশী আইন এবং ১৯৬৭ সালের পাসপোর্ট আইনের মাধ্যমে। কেন্দ্র ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করতে চাচ্ছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে যেসব নিপীড়িত গোষ্ঠী রয়েছে সেগুলোকে নাগরিকত্ব প্রদানের কথা এই আইনে বলা হয়নি।
অরুনাচল সমস্যা: ১৯৬৪-৬৯ মেয়াদে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চাকমা ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী হাজংরা ভারতের অভিবাসী হয়। এদের ১৪,৮৮৮ জনের মতো সদস্য আজকের অরুনাচল প্রদেশে বসতি স্থাপন করে। এদের নাগরিকত্ব প্রদানের ব্যাপারে রাজ্য সরকারের আপত্তি রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে যোগ্যদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়। ২০১২ সালে একটি এনজিও’র সমীক্ষায় দেখা যায় অরুণালে ৫৪ হাজারের মতো চাকমা ও হাজং রয়েছে। অরুণাচলে আসা মূল সদস্য সংখ্যা এখন অবশিষ্ট আছেন ৬ হাজারের মতো। রাজ্য সরকার এই দুই জনগোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ৬৫,৮৫০ বলে উল্লেখ করে। এদের মধ্যে ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীরা ভারতীয় নাগরিক। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।