Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে কোনো ছাড় নয়

জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় খন্দকার মাহবুব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অনেক খেলা হয়েছে। এবার রাজপথে হবে শেষ খেলা। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন’ আয়োজিত অংশগ্রহণ মুলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকারের অপরিহার্যতা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মাহবুব হোসেন এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি এ্যাডভোকেট মনির হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আবদুল আওয়াল মিন্টু ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবিএম রফিকুল হক তালুকদার রাজা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার, আবেদ রাজা, ওয়ালিউর রহমান খান, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, আনিছুর রহমান খান, আশরাফ-উজ্জামান, কামাল হোসেন, নাছিরউদ্দিন সম্রাট, ওয়াসিল উদ্দিন বাবু, মীর সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি খালেদা জিয়ার কারাগারের যাওয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ রাজনৈতিক। দুর্নীতির সঙ্গে তার কারাগারে যাওয়ার সম্পর্ক নেই। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, সরকার আরো মামলা দিবেনা এর নিশ্চয়তা কে দেবে? তাই রাজপথের মোকাবেলায় তাকে কারামুক্ত করে আনতে হবে।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাকে বিদেশীরা অনেক পছন্দ করেন। যদি এতোই পছন্দ করে তাহলে দয়া করে বিদেশে চলে যান। প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন মানুষের প্রাণের দাবি। মানুষ চায় অবাধ ও নির্বিঘ্নে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। তা না হলে জনগণ রাজপথে নেমে তাদের অধিকার অধিকার আদায় করে ছাড়বে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনে ভারতের নাক গলানো বন্ধ করতে হবে। তাদের হাইকমিশনার বলেছে বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না। তার মানে অতীতে হস্তক্ষেপ করেছে। ভারতকে বলতে হবে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার জন্য তাদের ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা টাকা আগেই শোধ করেছে বাংলাদেশ। আপাতত আমাদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ কর। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলেছেন ছোটো মন্ত্রী সভা হবে। সেখানে বিএনপির দুই তিনজনের প্রতিনিধিত্ব থাকতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় বিএনপিকে দেয়া হলে এ নিয়ে প্রশ্ন থাকবে না।

আবদুল আওয়াল মিন্টু বলেন, দেশে একটি বৈধ সরকার দরকার। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে এবং দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্য পাবে। এ জন্য দরকার সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। একইসঙ্গে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।



 

Show all comments
  • কাজল ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ২:৪৮ এএম says : 2
    কথায় নয় কাজে দেখতে চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Engr Amirul Islam ৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১১:২০ এএম says : 0
    Please start the process
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসক্লাব

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৬ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ