পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযান। গতকাল (শুক্রবার) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। মুহুর্মুহু গোলাগুলি ও কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে অভিযানের সময়। দুই জনের লাশ, ৫টি গ্রেনেড, একে২২ রাইফেল, পিস্তল ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠিক পাশে জোরারগঞ্জ থানার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের চৌধুরী ম্যানশন নামে একটি একতলা বাড়িতে এক নারীসহ জেএমবির চার সদস্য অবস্থান করছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। অভিযানে গোলাগুলির কারণে রাত ৪টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ভোরের দিকে ওই বাড়িতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটনার পর গোলাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা থেকে বোমা নিস্ক্রিয়করণ দল গিয়ে আস্তানায় প্রবেশ করে সব বোমা একটি পরিত্যক্ত স্থানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করেছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বাড়িটিতে দুটি ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। এতে একটি একে-২২ রাইফেল, পাঁচটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, তিনটি পিস্তল ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম আদালত ভবনে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আদালত ভবন উড়িয়ে দেয়ার টার্গেট নিয়ে মীরসরাইয়ের এই বাড়িতে আস্তানা গড়ে তুলেছিল জেএমবির একটি গ্রুপ।
গতকাল শুক্রবার সকালে র্যাব-৭ এর ফেনী ক্যাম্প পিপিএম অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম বলেন, রাতে র্যাব ওই বাড়ি ঘিরে ফেলার পর ভেতর থেকে গুলি চালানো হয়। দীর্ঘ সময় গোলাগুলি চলে। ভোরে ওই বাড়িতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। মাজহারুল ও বাড়ির কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে র্যাব।
চৌধুরী ম্যানশন নামে ওই বাড়ির মালিক স্থানীয় ব্যবসায়ী মাজহারুল হক চৌধুরী অন্য জায়গায় থাকেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিএসআরএম এর কর্মচারী পরিচয়ে সোহেল নামের একজন ৫ হাজার টাকা প্রদান করে বাড়িটি ভাড়া নেয়। তবে ভুয়া পরিচয় দিয়ে বাড়িটি ভাড়া নেয়া হয় বলে তাদের ধারনা।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, গত দুই মাসে বেশ কয়েকটি জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়ে র্যাব জানতে পারে, একটি গ্রুপ চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে এবং তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। তারা একটি নাশকতার পরিকল্পনা করছে খবর পেয়ে গতকাল (শুক্রবার) ভোরে জোরারগঞ্জের ওই বাড়ি চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলেন র্যাব সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।