Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিরেছেন ১৪৪ শ্রমিক

সহায়তা দিতে সউদী দূতাবাস ব্যর্থ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:২৬ এএম

বিদেশে আকামা (ওয়ার্ক পারমিট) না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া ১৪৪ জন শ্রমিককে বাংলাদেশে পুশব্যাক করেছে সউদী আরব। আকামাবিহীন প্রবাসী শ্রমিকদের ন্যূনতম সহায়তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস । বায়রার নির্বাহী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, তিন গুণ বর্ধিত আকামা নবায়নের ফি সউদী কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে রিয়াদস্থ বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। আকামা নবায়নের চড়া ফি পরিশোধ করতে না পেরে বহু প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিক পালিয়ে পালিয়ে কাজ করছে।
বুধবার দুপুরে সউদী এয়ারলাইন্সের (এসভি ৮০৬) নম্বর ফ্লাইটে ১৪৪ জন আকামা বিহীন শ্রমিক হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। বিমান বন্দরের অভ্যন্তরে স্থাপিত প্রবাসী কল্যাণ ডেক্স সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রবাসী কল্যাণ ডেক্স ফেরত আসা শ্রমিকদের অভিযোগ শুনছে। মূলত আকামা না থাকায় তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ফেরত আসা শ্রমিকদের অভিযোগ, সউদী সরকার ধরে ধরে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও হাজার হাজার বাংলাদেশি পুশব্যাকের তালিকায় রয়েছে। এক বছরের আকামা নবায়নের অর্থ তারা দেড় বছর কাজ করেও যোগাতে পারেননি। নিরুপায় হয়ে মানবেতর জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন। অন্য কাগজপত্র ঠিক থাকলেও প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকদের ধরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী কবির হোসেন জানান, তার আকামার মেয়াদ আরো তিন মাস ছিল। কিন্ত সউদী পুলিশ তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ তাকে কোনো আইনী সহায়তা দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের কর্মকর্তা তানভির হোসেন জানান, ফেরত আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কর্মস্থলে যাওয়ার সময় রাস্তাঘাট থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে। পরে সেখানে দুই-তিন মাস নির্যাতন শেষে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আটককৃত এসব শ্রমিকদের আইনী সহায়তা দিতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হচ্ছে।
বায়রার নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী ইনকিলাবকে বলেন, সউদী আরবে ফ্রি ভিসায় গিয়ে বাংলাদেশীরা আকামার সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। আকামা নবায়নের ফি ৬/৭ হাজার রিয়াল যোগাতে হিমসিম খাচ্ছে প্রবাসী শ্রমিকরা। তিনি বলেন, আকামা নবায়ন ফি সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে রিয়াদে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ চোখে পড়ার মতো কোনো উদ্যোগ নেননি। লেবার উইংগুলোর দূর্বলতা এবং আইনী সহায়তার অভাবে সউদী প্রবাসী শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এক সময়ে সউদী মালিকরা একটি ভিসা ৪০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত বিক্রি করেছে। বর্তমানের সউদীর ভিসা পানির দামে নেমে এসেছে। তিনি সউদীর শ্রমবাজারকে চাঙ্গা করতে দূতাবাসকে আরো ঢেলে সাজানোর ওপরগুরুত্বারোপ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ