মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৬ নভেম্বর। এই নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ক্রমান্বয়ে তলানির দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে। নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা বিজয়ী হলে বিপদ বাড়তে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দু’বছর হলো। ৬ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চার বছর অন্তর অন্তর নভেম্বরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কথিত এই নির্বাচন মার্কিন প্রেসিডেন্টের চার বছর মেয়াদের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই নির্বাচনে মার্কিনিরা কংগ্রেসের নতুন সদস্য নির্বাচিত করবে। কিন্তু এই ভোট প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতার বাকি সময়টাতে কিভাবে প্রভাব ফেলবে। কংগ্রেস মার্কিন সরকারের জন্য আইন তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেট নামে দুটি কক্ষ আছে। ৬ নভেম্বর নির্বাচনে মার্কিন ভোটাররা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) এবং সিনেট সদস্যরা নির্বাচিত করবেন। এই দুই কক্ষকে সম্মিলিতভাবে কংগ্রেস বলে। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং সিনেট সদস্যরা আইন প্রণয়ন ও পাশ করতে একসঙ্গে কাজ করে। সিনেট সদস্যদের সিনেটর বলে। প্রেসিডেন্টের পছন্দের সরকারি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বিচারকদের নিয়োগ নিশ্চিত করার ক্ষমতাও সিনেটরদের থাকে। কংগ্রেসের দুই কক্ষেই ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির দখলে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিতরাই কংগ্রেসের অধিকাংশ সদস্য। তবে এবার ডেমোক্র্যাট দল মনে করছে, নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে তাদের দল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের নিয়ন্ত্রণ পাবে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে। এমনটা হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যেসব পরিকল্পনা রয়েছে তা বাতিল বা বিলম্বিত হতে পারে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) ৪৩৫টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ডেমোক্র্যাটদের অধিকাংশ সিটে জয়লাভ করতে হবে। এর জন্য রিপাবলিকানদের কাছ থেকে কমপক্ষে ২৩টি আসন কেড়ে নিতে হবে ডেমোক্র্যাটদের। তবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে জয়ী হওয়াটা ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুব একটি কঠিন হবে না। কারণ চলতি বছর রিপাবলিকানদের বৃহৎ একটি অংশ হাউস ত্যাগ করছেন। তাই ডেমোক্র্যাটদের জন্য একটি বিশাল সুযোগ রয়েছে। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের প্রতিনিধিরা নানা কারণে পদত্যাগ করছেন। কেউ রাজনীতি থেকে অবসরে যাচ্ছেন, কেউ বা আরো উচ্চ পদে যাচ্ছেন। তাদের কেউ ট্রাম্পবিরোধী, আবার কেউ কেউ তাকে সমর্থন করছেন। অনেকেই আছেন ভোট দেয়া এড়াতে অফিস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সিনেটেও রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ। তাই এটি নজর দেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ। সিনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। সিনেটের দখল নিতে হলে ডেমোক্র্যাটদের দুটি আসন রিপাবলিকানদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে হবে। মাত্র নয়টি রিপাবলিকান সিনেট আসনে প্রতিযোগিতা হবে। বাকি আসনগুলো রিপাবলিকানদের দখলেই থেকে যাবে মনে করা হচ্ছে। এক কথায় বলা যায় ‘গ্রিডলক’ বা জট সৃষ্টি হবে।সরকার অচল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে অনেক বেশি।বিরোধীদের সঙ্গে সরকার মতের মিল হবে খুব কম ক্ষেত্রেই। সরকার তখনই অচল হবে যখন কংগ্রেস দেশ জুড়ে সরকারি কার্যক্রমে অর্থায়ন করতে ব্যর্থ হবে। যদি জরিপকে প্রাধান্য দেয়া হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে আছে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, চলতি বছর ওয়েভ ইলেকশন বা কোনো দলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার দেখা মিলতে পারে। ডেমোক্র্যাটরা অধিকাংশ আসনে জয়ী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ইতিহাস ইঙ্গিত দিচ্ছে, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয় হতে পারে। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।