রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এবারের বর্ষা মৌসুমে শিবালয় উপজেলার চরাঞ্চলে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে শত শত বিঘা জমি, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা, আশ্রয়ন কেন্দ্র, বসতি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সহস্রাধিক মানুষ ভিটেবাড়ি হারিয়েছে। অর্ধ-সহস্র শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
চরাঞ্চলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মধ্যনগর রুস্তম আলী হাওলাদার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মধ্যনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানাইদিয়া আবতাবউদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ন প্রকল্প , সহস্রাধিক বসত বাড়ি, কয়েক হাজার বিঘা আবাদি জমি নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়েছে । নদীগর্ভে বিলীন হওয়া এলাকাগুলো হলো- তেওতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চর আলোকদিয়ার অন্তর্গত শুকচানের পাড়া, আখের মোল্লার পাড়া, নিহাল শেখের পাড়া, সন্তোষ আলীর পাড়ার একাংশ। চর রঘুনাথপুরের অন্তর্গত খালেকের পাড়ার একাংশ। একই ইউনিয়নের একই চরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আলী কাজীর পাড়া, ইমান ব্যাপারীর পাড়া, কুদ্দুস মুন্সীর পাড়া, ওহাব মোল্লার পাড়া। শিবালয় ইউনিয়নের চর শিবালয়ের ১৫৪টি পরিবার, গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ন প্রকল্পের ১২০টি পরিবার বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।
স্থানীয় তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ আ: কাদের জানান, দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা প্রসারে সরকারের এসইএসডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সালের ৩০ মার্চ ১৯০ ফিট দৈর্ঘ্যরে এক কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ৬৭২ টাকা ব্যয়ে তিন তলাবিশিষ্ট চর মধ্যনগর রুস্তম আলী হাওলাদার মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়। ২০১৩ সাল থেকে বিদ্যালয়টিতে নিয়মিত পাঠদান চলছিল। এবারের নদীভাঙনে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভবিষৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, তার ওয়ার্ডের অন্তর্গত চর গঙ্গাপ্রসাদ আশ্রয়ন প্রকল্পসহ চর শিবালয়ের ২৭৪টি পরিবার বসতবাড়ি হারিয়েছে। এভাবে যমুনার চর আলোকদিয়া সহস্রাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। এ চরাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়বাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নদীভাঙা মানুষের পাশে এখনো কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। ভাঙন রোধে ছিল না কোনো উদ্যোগ। আশ্রয়হীন মানুষের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন পুনর্নির্মাণের দাবি জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।