নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে প্রথম স্তরের কোন ম্যাচেই ফল আসেনি। রাজশাহীর বিপক্ষে তুষারের ব্যাটে ম্যাচ বাঁচায় খুলনা। আর বগুড়ায় ব্যাটিং প্রদর্শণীর মধ্য দিয়ে নিরুত্তাপ ড্র হয়েছে রংপুর-বরিশালের ম্যাচটি। তবে দ্বিতীয় স্তরের দুটি ম্যাচেই মিলেছে ফলের দেখা। সিলেটে স্বাগতিকদের ইনিংস ও ৪১ রানের ব্যবধানে হারায় ঢাকা মেট্রো। ফতুল্লায় ঢাকার কাছে চট্টগ্রামের হারটিও ২১৪ রানের বড় ব্যবধানে।
এবারের জাতীয় লিগে পিচ ছিল অনেকটাই সবুজ। বোলারদের বাড়তি সহায়তার একটা আভাস তাতে ছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের ভাষা সেকথা বলেনি। সব মিলে চার ম্যাচে দ্বিশতক হয়েছে দুটি, ১১টি সেঞ্চুরি। এর মধ্যে ভিন্ন দুই ইনিংসে জোড়া শতক হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তুষার ইমরান। দেশের ক্রিকেটে যে ঘটনা প্রথম। আবার বোলাররাও যে চাইলে ভোলো করতে পারেন তার প্রমাণ মিলেছে নাজমুল-শাহাদাত-সানি-আসিফ-আফিফদের বোলিংয়ে।
প্রথম ইনিংসে তুষারের ১০৪ রানের পরও ২১০ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা। জবাবে মিজানুর রহমান ও জহুরুল ইসলামের দুই সেঞ্চুরি ইসিংসে ৫৫২ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে রাজশাহী। ম্যাচ হারার শঙ্কা যখন চেপে বসেছে তখন আবারো চওড়া হয়েছে তুষারের ব্যাট। প্রথম ইনিংসে সঙ্গ না পেলেও দুটি সেঞ্চুরি ইনিংসে তাকে এ যাত্রায় সঙ্গ দেন এনামুল হক (১১৩) ও সৌম্য সরকার (১০৩*)। তৃতীয় দিনেই তিন অঙ্কের দেখা পাওয়া তুষার কাল আউট হন ব্যাক্তিগত ১৫৯ রান করে। তার ২২৯ বলের ইনিংসটিতে ছিল ২১টি চার ও একটি ছক্কার মার। তবে ম্যাচ বাঁচাতে শেষ দিকে ১২০ বলে খেলা সৌম্যের ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংসের অবদানটাও কম নয়।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে গতকাল শেষ দিনে ৫ উইকেটে ৩৮৪ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসের বাকি খেলা শুরু করে বরিশাল, অল আউট হয় ৪৫৮ রানে। এক প্রান্ত আগলে দলের সঙ্গে নিজের ইনিংসটাকে লম্বা করেছেন ফজল মাহমুদ। কিন্তু দিন শেষে তাকে পুড়তে হয়েছে ৫ রানের আক্ষেপে। আর পাঁচটি রান পেলেই যে ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতকটি পেয়ে যেতেন ফজল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেন ক্যারিয়ার সেরা ১৯৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে রংপুর ১২ রানের মধ্যে হারায় ২ উইকেট। কিন্তু মাহমুদুল হাসান ও নাঈম ইসলাম তৃতীয় উইকেটে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১৫২ রানের জুটি। তখন অপেক্ষা ছিল নাঈমের সেঞ্চুরির। সেটা সম্পন্ন হতেই ড্র মেনে নেন দু’দলের অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক ইনিংস খেলা আরিফুল হকের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ফতুল্লায় রানি-মাজিদের রেকর্ড জুটিতে ঢাকার দেয়া বিশাল লক্ষ্যে চট্টগ্রাম আগের তিনই হারায় তিন উইকেট। শাহাদাত হোসেনের পেস আর নাজমুল ইসলামের ঘূর্নীর সামনে গতকাল দ্বিতীয় সেশনেই তারা গুটিয়ে যায় ২৬৭ রান করে। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেয়া শাহাদাত এবারো নেন চারটি, পাঁচটি নেন নাজমুল। ক্যারিয়ার সেরা ২২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেয়ায় ম্যাচসেরা হন রনি তালুকদার।
সিলেটে মেট্রোপলিটনের সামনে কোন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা। হাতের ৬ উইকেট কাল তারা হারায় ২১ রান যোগ করতেই। এজন্য বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আসিফ হোসেনকে দুষতে পারে সিলেট। আসিফ একাই যে তুলে নেন ৫ উইকেট। ১৫৭ রানের ইনিংস খেলা সাদমানের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা-রাজশাহী, রাজশাহী (১ম স্তর)
খুলনা : ২১০ ও (তৃতীয় দিন শেষে ১৮২/২) ১২৮.৫ ওভারে ৪৬৭/৭ (বিজয় ১১৩, তুষার ১৫৯, মেহেদি ২৯, সোহান ৪০, সৌম্য ১০৩; শফিউল ১/২০, রেজা ১/৮১, তাইজুল ২/১৫৩, সানজামুল ২/১২৯, ফরহাদ ১/৩০)। রাজশাহী ১ম ইনিংস : ৫৫২।
ফল : ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : তুষার ইমরান।
রংপুর-বরিশাল, বগুড়া (১ম স্তর)
রংপুর : ৫০২ ও ৫৪.২ ওভারে ১৬৪/২ (মাহমুদুল ৫৩*, নাঈম ১০০*; রাব্বি ১/১২, সোহাগ ১/৪৫)। বরিশাল ১ম ইনিংস : (তৃতীয় দিন শেষে ৩৮৪/৫) ১৪৫.২ ওভারে ৪৫৮ (শাহরিয়ার ২৪, রাফসান ৫৯, মাহমুদ ১৯৫, সোহাগ ১২৮; শুভাশীষ ২/৫৬, সাজেদুল ২/৬২, মাহমুদুল ৪/৭১)।
ফল : ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আরিফুল হক।
ঢাকা মেট্রো-সিলেট, সিলেট (২য় স্তর)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস : ৪২৬
সিলেট : ২১৫ ও (তৃতীয় দিন শেষে ১৪৯/৪) ৭২.৪ ওভারে ১৭০ (জাকির ৭২, রাজিন ৬০, কাপালী ১৬; শহিদুল ২/২২, সানি ৩/৬৩, আসিফ ৫/৪৪)।
ফল : ঢাকা মেট্রো ইনিংস ও ৪১ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : সাদমান ইসলাম।
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ফতুল্লা (২য় স্তর)
ঢাকা : ২৩৮ ও ৩৮৫/১ ডিক্লে. (মজিদ ১৩২, রনি ২২৮*; জুবায়ের ১/৬৮)। চট্টগ্রাম : ১৪২ ও (লক্ষ্য ৪৮২) (তৃতীয় দিন শেষে ১৩৫/৩) ৮৫.১ ওভারে ২৬৭ (মুমিনুল ৬২, তাসামুল ৩৮, মাহিদুল ৪৭, সাইফ ৬০; শাহাদাত ৪/৪৬, নাজমুল ৫/৭৫)। ফল : ঢাকা ২১৪ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রনি তালুকদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।