Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষক

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

চলতি আমন মৌসুমে জেলায় বৃষ্টি কম হওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অধিক লাভের আশায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ঝুকে পড়েছে সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটের কৃষকরা। উঁচু জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক পরিবার গুলো ।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেকোনো ফসল আগাম চাষ হলে বাজারে চাহিদা থাকে বেশি। তাই মুনাফাও অনেক বেশি পাওয়া যায়। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় উঁচু জমিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন তারা। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক মুনাফা লাভের জন্য বেগুন, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির জুড়ি নেই। পানি জমে না এমন উচু জমি কপি চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত।

অন্যের জমি লিজ নিয়ে গত ৪ থেকে ৫ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি জেলার অর্থনৈতিক উন্নতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এদিকে মোগলহাট ইউনিয়নের ,ফুলগাছ কোদালখাতা, মেঘারাম ও কুলাঘাট ইউনিয়নের শীবের কুটি, বনগ্রাম এলাকায় বেগুনের ব্যাপক চাষাবাদ হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এ বেগুন এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাবে পাইকাররা। শিবের কুটি এলাকার বেগুন চাষি মো: আফতাব উদ্দিন জানান, গত বছরের তুলনায় এবারে ফলন বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদি দাম ভাল পাই তাহলে ৬/৭ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে তিনি জানান।

জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সবজি চাষ হচ্ছে। সবজি চাষের ব্যাপকতার জন্য আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি, সারপুকুর, ভেলাবাড়ি, দুর্গাপুর, সদর উপজেলার বড়বাড়ি, গোকুন্ডা, মোগলহাট, মহেন্দ্রনগর, কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা, মদাতি, চন্দ্রপুর, হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না, ভেলাগুড়ি, সিংগিমারী, টংভাঙ্গা এবং পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ও কুচলিবাড়ি ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের সবজি। শীতের শুরুতে ট্রাকে ট্রাকে ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন জেলায় যাবে এ সবজি।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর এ জেলায় ছয় হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে। চলতি বছর সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে চলতি সপ্তাহে প্রায় এক হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে রবি ১৮/১৯ জাতের আগাম সবজি চাষ হয়েছে। মার্চের মধ্যবর্তী পর্যন্ত এ রোপণ ও বপন চলবে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, কৃষকরা যে ফসলে মুনাফা পায়, সেটাতেই ঝুকে পড়েন। শুধু এ জেলায় নয়, সারাদেশে সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই কৃষকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় আগাম সবজি চাষে ঝুকে পড়েছেন।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিদু ভুষণ রায় বলেন, কৃষি বিভাগের লোকজনের নিয়মিত মনিটরিংয়ে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বাড়ায় কৃষকদের মুনাফাও বেড়েছে কয়েকগুণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সবজি

৪ এপ্রিল, ২০২২
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৯ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ