মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন একটি ডুয়েল-পারপাস লেজার সজ্জিত স্যাটেলাইট তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রজেক্ট গুয়ানলান নামে এই স্যাটেলাইট গত মে মাসে উৎক্ষেপণ করা হয়। সমুদ্রে চলাচলের উপর নরজদারি করা ও শত্রুর সাবমেরিনকে আকাশ থেকেই ঘায়েল করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য। মান্দারিন ভাষায় গুয়ানলান শব্দের অর্থ ‘বড় ঢেউ পর্যবেক্ষণ’।
চীন এখন যে প্রযুক্তি লাভের চেষ্টা করছে অতীতে অনেক চেষ্টা করেও তা হাসিল করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। প্রায় ২৫ বছর ধরে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এমন এক অস্ত্র তৈরির জন্য যাতে লাইট ডিটেকশন এন্ড রেঞ্জিং (লিডার) প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাবমেরিন ঘায়েল করা যায়।
এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ মিটার নিচ পর্যন্ত প্রবেশে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এটা যথেষ্ঠ নয়। বেশিরভাগ নৌবাহিনীর সাবমেরিন চলে পানির অন্তত ৫০০ মিটার নিচ দিয়ে। অত্যাধুনিক অস্ত্র নির্মাতাদের জন্য পানির ৫০০ মিটার গভীরতায় লেজার রশ্মির আঘাত হানতে পারা এখনো স্বপ্নের বিষয়। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছে চীন। দেশটির পূর্ব উপকূলের কুইংদাওয়ে অবস্থিত পাইলট ন্যাশনাল লেবরেটরি ফর মেরিন সাইন্স এন্ড টেকনলজির বিজ্ঞানিরা ওই ডিভাইস তৈরির কাজ করছেন।
প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা গত বছর বা চলতি বছরের শুরুর দিকে সরকারের কাছে কিভাবে ডিভাইসটি তৈরি করা যাবে তার বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করেন। শি জিনপিং সরকার তহবিল অনুমোদনের পর চলতি বছরের মে মাস থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ডিভাইস তৈরি হওয়ার পর তা কোন প্লেন বা পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটে স্থাপন করা হতে পারে।
প্রজেক্ট গুয়ানলান সফল হলে সমুদ্রের সামরিক ও বেসামরিক চলাচল নিয়ন্ত্রণের প্রচুর ক্ষমতা পাবে চীন। তখন দেশটি বিশ্বব্যাপী সামুদ্রিক তৎপরতার ডেটাসেন্টারে পরিণত হতে পারে।
ভারতের কৌশলগত স্বার্থে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে প্রজেক্ট গুয়ানলান। ভারতের সবচেয়ে প্রতাপশালী প্রতিবেশী চীন। দুই দেশের মধ্যে ৩,০০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। চীনের চারপাশে পানিসীমার উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বেইজিং।
ভারতকে ঘিরে চীন ইতোমধ্যে কথিত ‘মুক্তার মালা’ তৈরি করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতি বেড়েছে। মিয়ানমার, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ, জিবুতি ও পাকিস্তানের তাদের কৌশলগত প্রভাব রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মালদ্বীপের উপর চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব একটি লক্ষ্য করার মতো বিষয়।
ভারত তার বাণিজ্যের বেশিরভাগ, প্রায় ৯৫ শতাংশ, সাগরপথে করে। লেজার ডিভাইস উদ্ভাবনের পর চীন তা পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইন বা গোয়েন্দা বিমানে মোতায়েন করলে তা ভারতের নিরাপত্তা স্বার্থকে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে ভারত। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।