Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আপনাদের জিজ্ঞাসার জবাব

| প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

প্রশ্ন : রোজার গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত : কি কি ?
উত্তর : হজরত আবু হোরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) এরশাদ করেছেন, আল্লাহতায়ালার কসম! মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম মাস কোনটি আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য অধিক ক্ষতির মাস ও রমজান মাসের চেয়ে আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রæটি অন্বেষন করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। (মুসনাদে আহমদ হাদীছ নং ৮৩৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা ৮৯৬৮)
হজরত জাবির (রা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন-অবশ্যই আল্লাহতায়ালা রমজান মাসে প্রতি ইফতারের সময় অসংখ্য ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। প্রতি রাতেই তা হয়ে থাকে। (সুনানে ইবনে মাজা ১৬৪৩, মুসনাদে আহমাদ-২২২০২, তাবারাণী-৮০৮৮ বায়হাকী ৩৬০৫)

হজরত উম্মে মাকিল (রা:) হতে বর্ণিত, নবী কারীম (সা:) ইরশাদ করেছেন-রমজান মাসে উমরা হজের সমতুল্য। (সুনানে তিরমিযী-৯৩৯, সুনানে আবু দাউদ-১৯৮৬)। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, উম্মে মাকিল (রা:) বলেন- ইয়ারাসূলুল্লাহ। আমি তো হজ করতে ইচ্ছুক। কিন্তু আমার উটটি দূর্বল। তিনি বললেন, তুমি রমজান মাসে উমরা করো। কেননা রমজান মাসে উমরা (সাওয়াব হিসেবে) হজের সমতূল্য। (মুসনাদে আহমদ-হাদীছ নং ২৭২৮৫)।

হজরত আবু মুসা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আল্লাহতায়ালা নিজের উপর অবধারিত করে নিয়েছেন, যে ব্যক্তি তাঁর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন। (মুসনাদে বাযযার ১০৩৯)
হজরত হুযায়ফা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, মানুষের জন্য তার পরিবার ধন-সম্পদ তার আত্মা সন্তান-সন্তুতি ও প্রতিবেশী ফিতনা স্বরূপ তার কাফফারা হল নামাজ, রোজা, দান-সদকাহ, সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ। (সহীহ বুখারী) ৫২৫ ও ১৮৬৫ সহীহ মুসলিম-২৮৯২)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, সবরের মাসের (রমজান মাস) রোজা এবং প্রতিমাসের তিন দিনের (আইয়্যামে বীয) রোজা অন্তরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে দেয়। (মুসনাদে আহমদ ২৩০৭০, সহীহ ইবনে হিব্বান-৬৫২৩)
উত্তর দিচ্ছেন : মোহাম্মদ হাছানুল বারী ফেরদাউস



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রশ্ন :

১০ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ