মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ারমারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য ভারতের প্রতি আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তিনিও গুতেরেস। ভারত সফরে থাকা গুতেরেস মঙ্গলবার একটি টাউন হল মিটিংয়ে এই আহবান জানান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে। গুতেরেস বলেন, ‘ভারত কী করতে পারে? প্রথমত, ব্যাপক মানবিক সমস্যার মুখে সাহায্য করতে হবে। দ্বিতীয়ত, শুধু রোহিঙ্গা গ্রামগুলোর পুনর্নির্মাণই নয়, সেখানে মানুষজনের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরির জন্য ভারতকে অবশ্যই মিয়ানমারের ওপর চাপ দিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়ে আছে যে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। আর এটা হলে তা পুরো অঞ্চলেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভাগ্য ভালো, এখনও খুব বেশি রোহিঙ্গাকে তারা দলে ভেড়াতে পারেনি আর আমাদের এখনও ওই পরিস্থিতি এড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বৈষম্য ও অমীমাংসিত সমস্যা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সুযোগ করে দেবে।’ অপর এক খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান পরিচালনার জন্য যারা দায়ি, তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য মিয়ানমারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান মঙ্গলবার দেশের পার্লামেন্টে এ কথা বলেন। এই ইস্যুটিকে ঘিরে রাজনৈতিক স্পর্শকাতর পরিস্থিতি বিরাজ করায় বিষয়টি নিয়ে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বৈঠকে বসেছিলেন বলে জানান বালাকৃষ্ণান। তিনি বলেন, “এই সহিংসতা নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি। বিশেষ করে যেখানে প্রচুর মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে বিতাড়িত করা হয়েছে”। মিয়ানমার সরকার একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। মন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেন, এই কমিশনকে পূর্ণ অধিকার দেয়া উচিত যাতে তারা স্বাধীনভাবে বিষয়টির তদন্ত করতে পারে এবং দোষীদের আইনের অধীনে আনতে পারে। আগস্টে প্রকাশিত জাতিসংঘের এক রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার আহবান জানানো হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীগুলো পরিকল্পিতভাবে হত্যাকান্ড, নির্যাতন, গণ-ধর্ষণ চালিয়েছে, সংখ্যালঘুদের দাস বানিয়ে রাখাসহ পুরো স¤প্রদায়ের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া,এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।