পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আশ্বিন মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। তার মানে শরৎ ঋতু যায় যায়। অথচ তাপমাত্রার পারদ দেশের বেশিরভাগ জেলায় ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও ঊর্ধ্বে। অকালে তাপপ্রবাহের কারণে ভ্যাপসা গরমে-ঘামে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণে ত্যক্ত-বিরক্ত সবার মাঝেই ঘুরপাক খাচ্ছে যে প্রশ্নটি, অনাবৃষ্টি তাপদাহের এ কোন আশ্বিন!
গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টির ফোঁটা পড়েনি। আবার গতকাল থেকেই বিদায় নিতে শুরু হয়েছে বর্ষারোহী দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুমালা। আজ (বুধবার) দেশের অধিকাংশ জায়গায় আবহাওয়ার উন্নতির সুখবর নেই। বরং বিশুষ্ক খরতপ্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে।
শ্রাবণ-ভাদ্রের ভরা বর্ষাকাল জুড়ে খরার দহন আর অনাবৃষ্টিরই ধারাবাহিকতা চলছে চলতি আশ্বিন মাসে। ভ্যাপসা গুমোট গরমের ভাপ সর্বত্র। বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য এবং তীর্যক সূর্যের তেজে মানুষ অসময়ে ঘামাচ্ছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ। গত সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন) মাসে সারাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমান ৩২৫ মিলিমিটারের স্থলে বৃষ্টি হয় ১৮৪ মিমি। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪৩.৬ শতাংশ হারে কম। অনাবৃষ্টির কারণে গরমের দাপট চলছে গত প্রায় দুই মাস যাবৎ।
বঙ্গোপসাগরে গতকাল পর্যন্ত কোনো লঘুচাপ তৈরি হয়নি। সার্বিক আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে পড়েছে। আবহাওয়ার বিপরীতমুখী আচরণে সর্দি-কাশি, মৌসুমী ভাইরাস জ্বর, হাঁপানি, ডায়রিয়াসহ পেটের পীড়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এতে করে কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েছে বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের।
এদিকে গতকালও খরতপ্ত ছিল প্রায় সারাদেশ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ২৩ ডিগ্রি সে.। ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ এবং ২৪.২ ডিগ্রি সে.। অধিকাংশ স্থানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি সে. পর্যন্ত বেশি রয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ (রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল) থেকে বিদায় নিতে পারে। এরপরের ৫ দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের আরও কিছু অঞ্চল থেকে বিদায় নিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।