মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুদ্ধে স্থানীয় মিলিশিয়াদের সহায়তা করতে দেশটিতে আরও ২৫০ জন সামরিক সদস্য পাঠাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন করে এই সেনা মোতায়েন হলে সিরিয়ায় যুদ্ধের বাইরে মার্কিন বাহিনীর সদস্য হবে ৩০০ জন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ায় আরও সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে অধিকসংখ্যক সুন্নি আরবকে যোগদানে উৎসাহিত করা। এর আগে, বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওবামা সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের স্থলসেনা পাঠানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, শুধু সামরিক শক্তি দিয়ে সিরিয়া সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সেখানে স্থলসেনা পাঠানো ভুল হবে।
আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত সামরিক সদস্যের অধিকাংশই হবেন বিশেষ অভিযান বাহিনীর। এই দলে চিকিৎসা ও সরবরাহ কাজের সেনারাও থাকবেন। সিরিয়ায় প্রায় পাঁচ বছর ধরে সরকারবিরোধী যুদ্ধ চলছে। সেখানে চলমান সংঘাতে আড়াই লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটির বেশি মানুষ। আইএসের উত্থান দেশটির সংকটকে গুরুতর করে তুলেছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা বিবিসিকে বলেছেন, সিরিয়ায় স্থল সেনা পাঠিয়ে বাশার আল- আসাদের শাসনের পতন ঘটানো যুক্তরাষ্ট্র বা গ্রেট ব্রিটেনের জন্য ভুল হবে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায়িত্বের শেষ নয় মাসে ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করা যাবে বলে তিনি মনে করেন না। তবে তিনি বলেছেন, যেখান থেকে তারা পরিচালিত হয় সেই পরিবেশকে আমরা ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত করে দিতে পারি। যুক্তরাজ্যে তিন দিনের সফরকালে ওবামা বলেন, সিরিয়ায় প্রচুর জটিলতার মধ্যে হৃদয় ভেঙে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর কোনো সহজ সমাধান আছে বলে আমি মনে করি না।
ওবামা জানান, রাক্কার মতো জায়গাগুলোতে আইএসআইএল (আইএস)-এর ওপর হামলা চালিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী এবং দেশটির এ ধরনের জায়গাগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করবে। ওইসব এলাকা ঘিরে ফেলে ইউরোপে বিদেশি যোদ্ধা পাঠানোও বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায়কে রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ার মধ্যপন্থি বিরোধী দলসহ সব পক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আলোচনার টেবিলে বসে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য চেষ্টা করে যেতে হবে। কিন্তু এটি খুব কঠিন, বলেন তিনি। আইএসকে দুর্বল করে দিতে সামরিক হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এ ধরনের একক উদ্যোগে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে না। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।