Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ১৩ ভাগ মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে দেশে এখন ৯ কোটি ৫ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। যা মোট জনগোষ্ঠির ৫৬ শতাংশের বেশি। তবে বিটিআরসির এই তথ্যকে ভুল বলছে একটি গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদন। ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে বাংলাদেশে মাত্র ১৩ ভাগ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাজধানীর একটি হোটেলে আফটার অ্যাকসেস সমীক্ষায় বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার ও প্রাপ্যতা বিষয়ে এসব তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরে আইসিটি পলিসি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লার্নএশিয়া। 

প্রকাশিত ওই গবেষণায় দেখা গেছে ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ ১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মাত্র ১৩ শতাংশ বাংলাদেশী নাগরিক ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। যদিও এই বয়সের মানুষদের ৪৫ শতাংশেরই কমপক্ষে একটি ইন্টারনেট-বান্ধব ডিভাইস রয়েছে। গ্লোবাল সাউথে (উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে) মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার ও প্রাপ্যতা বিষয়ে আফটার অ্যাকসেস গবেষণার অংশ হিসেবে এ তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
এশিয়া বিভাগের প্রধান গবেষক ও লার্নএশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিলানি গালপায়া বলেন, এ বিষয়ে তথ্য এখনো অপ্রতুল। কারণ, প্রাপ্ত তথ্যগুলো হয় এ সংক্রান্ত ব্যবসা সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সরবরাহ করা, অথবা এসব তথ্য রাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করছে না। মোবাইল ফোনের ব্যবহার এবং ব্যবহারকারী সম্পর্কে সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের একমাত্র গ্রহণযোগ্য পন্থা হচ্ছে এর ব্যবহারকারী (এবং ব্যবহারকারী নন) এমন ব্যক্তিদের সাথে সরাসরি কথা বলা। এই গবেষণায় আমরা সেই কাজটিই করেছি।
এ গবেষণায় বাংলাদেশের ৪০টি জেলার ১০০টি ওয়ার্ড এবং গ্রামে দুই হাজার পরিবার ও ব্যক্তির উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। গবেষণা পদ্ধতিটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা লক্ষমাত্রার (১৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সী) জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ প্রতিনিধিত্বমূলক এবং এতে সম্ভাব্য ত্রুটির মাত্রা ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশসহ আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার ১৮টি দেশে একই গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। এর ফলে প্রাপ্ত তথ্যগুলো নিঃসন্দেহে গ্লোবাল সাউথে (উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর) মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সবচেয়ে নির্ভুল ও বিস্তারিত তথ্যের ডেটাবেজ। ৩৮ হাজার ৫ জন ব্যক্তি ও পরিবারের মুখোমুখি সাক্ষাতকার এবং সাক্ষাতকার প্রদানকারীদের নারী-পুরুষের সংখ্যাগত বিভাজন, গ্রামীণ বা শহর এলাকার বাসিন্দা কিনা এবং বয়সসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তথ্যগুলো সন্নিবেসিত করা হয়েছে।
এই গবেষণা প্রতিবেদনটি টেলিকম খাতের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছে এবং এতে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের যে বৈষম্য রয়েছে, সেই চিত্রটি ফুটে উঠেছে বলে জানান লার্নএশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাইদ খান। তিনি বলেন, এই গবেষণায় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার অপার সম্ভাবনার দিকটিও পরিষ্কারভাবে উঠে এসছে। আগামীতে নীতি নির্ধারণ, নিয়ন্ত্রণ এবং এই শিল্পখাতের সিদ্ধান্ত প্রণয়নে এই তথ্যগুলো ব্যবহারের তাগিদ দেন আবু সাইদ খান।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি, রবির সিইও ও এমডি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্টারনেট

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ