পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিচ্ছেদ থেকে পুনরায় সংসারে ফেরার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা একই বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে একদিন সময় নিয়েছেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে। একই সঙ্গে মোসাদ্দেক আইনগতভাবে বিচ্ছেদের জন্য যত টাকা পরিশোধ করতে হয় তার পুরোটাই করবেন বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তাকে।
মঙ্গলবার জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে দু’ধাপে সামিয়া ও মোসাদ্দেকের সঙ্গে বসেন অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী। প্রথমে সকাল সাড়ে ১১ টায় সামিয়া ও তাঁর দুই ভাইয়ের সঙ্গে ঘন্টাখানেক কথা বলেন তিনি। এরপর বিকেলে মোসাদ্দেকের কথা শুনেন তিনি। পরে লিখিত জবানবন্দি শেষে বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে ওই অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন এই ক্রিকেটার।
পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রণয় থেকে পারিবারিক সম্মতিতে ২০১২ সালের ২৮ অক্টোবর খালাতো বোন সামিয়া শারমিন উষাকে বিয়ে করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এরপর বছর দুয়েক যাবত দু’জনের সম্পর্কে চরম অবনতি ঘটে। এরপর গত রোববার সদর আমলী আদালতের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রোজিনা খানের আদালতে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী সামিয়া শারমিন উষা মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলা গ্রহণ না করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত করতে আদালতের নির্দেশনার চিঠি হাতে পায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে আদালত সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়।
এ ঘটনার পর এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে থাকেন। মোসাদ্দেক ও তাঁর পরিবারিক সূত্র গণমাধ্যমকে একাধিকবার অভিযোগ করে বলেন, দেশের মানুষের চোখে আমাকে এবং আমার পরিবারের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতেই ডিভোর্স পাঠানোর ১০ দিন পর বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি’র মামলা করা হয়। এটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। তবে সামিয়া বরাবরই বলে আসছিলেন, তাকে ব্যাপকভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেয়া হয়েছে। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন।
এসব ঘটনার পর মঙ্গলবার দিনভর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের দিকেই দৃষ্টি ছিলো সবার। সামিয়া ও মোসাদ্দেককে পৃথকভাবে ডাকা ও তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন শাহজাদী বলেন, ‘দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সামিয়া অধিদপ্তরে এসেছিলো। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি।
সামিয়ার কাছে জানতে চেয়েছি তুমি কী সিদ্ধান্ত নিতে চাও ? উত্তরে সামিয়া জানিয়েছে, আমাকে একদিন সময় দেন। আমার ৬ ভাই আমার অভিভাবক। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি সিদ্ধান্ত জানাবো। তাঁর প্রত্যাশা মাফিক তাকে সময় দেয়া হয়েছে।’
এদিকে, ৯০ দিন না হওয়ায় এখনো ডিভোর্স কার্যকর হয়নি বলে জানান ওই কর্মকর্তা। ফলে সমঝোতা বৈঠকের শুরুতেই তিনি মোসাদ্দেককে অনুরোধ করেন পুনরায় সংসার করার। কিন্তু মোসাদ্দেক ডিভোর্সের বিষয়ে নিজের অনড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।
এই কর্মকর্তা জানান, সামিয়া ও তাঁর পরিবার সিদ্ধান্ত জানানোর পর মোসাদ্দেকের লিখিত জবানবন্দিসহ আদালতে নির্ধারিত সময়েই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।