বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই সেতুটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয়া ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা নামমাত্র কাজ দেখিয়ে ভাগবাটোয়ারা করেছে চকরিয়ার সড়ক বিভাগের দায়িত্বরত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেছেন, চকরিয়া সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু এহেছান মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তফার বাড়ি চকরিয়ায় হওয়ায় দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যার কারণে তার অধীনে যে সব উন্নয়ন কাজ চলছে সে সব উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারদের নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর কাছে ওই দুর্নীতিবাজ উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে অনতিবিলম্বে চকরিয়া থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
জানা গেছে, মাতামুহুরী সেতু সংস্কারের নামে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্মমানের বিভিন্ন সামগ্রী। ফলে মেরামতের কিছু দিন যেতে না যেতেই সেতুতে হানা খন্দ দেখা দিয়েছে। প্রতিনিয়ত গাড়ি চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যে ৪টি সেতু নির্মাণের ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে, চকরিয়ার মাতামুহুরী, চট্টগ্রামের পটিয়ার ইন্দ্রপুল, চন্দনাইশের বরগুনি ও দোহাজারির সাঙ্গু সেতু ও রযেছে। এসব সেতু নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা)।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যালয়ের সহকারি প্রকৗশলী আবু এহেছান মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তফা বলেন, ‘ক্রস বর্ডার ইমপ্রুভমেন্ট নেটওয়ার্ক’ এর আওতায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। তবে অন্য তিনটি সেতুর কাজের অগ্রগতির তথ্য আমার কাছে না থাকলেও মাতামুহুরী সেতুর ছয় লেনের নির্মাণকাজ দৃশ্যমান হবে সহসাই। অবশ্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা না দিলে আগামী ডিসেম্বর মাসেই এই সেতুর নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে মাতামুহুরী সেতুর ওপর দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করছে। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির নিচে প্রথমে বালির বস্তার ঠেস এবং ওপরে পাটাতন বসিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে যানবাহন চলাচল সচল রাখা হয়। এরপরও মাঝখানে সেতুটি ফের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে আবারো জোড়াতালির কাজ শুরু করে সওজ। এজন্য ব্যয় হয় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
৪ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈয়দা তানজিমা সুলতানা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চারটি সেতু নির্মাণের জন্য গেল মার্চে দরপত্র খোলার পর চলে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া । এরপর সেতুগুলো নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। ইতোমধ্যে চারটি সেতুর মাটি পরীক্ষা, স্থান নির্বাচন ও ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়। সেতুগুলো নির্মাণে জাইকার অর্থায়নের বিষয়টিও পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে ইতোপূর্বে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও ছাড় করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।