মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দরকষাকষি চালিয়ে উত্তর অ্যামেরিকার ৩টি দেশ নাফটা চুক্তির পরিবর্তে এক মুক্ত বাণিজ্য কাঠামো সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছেছে৷ আগামী নভেম্বর মাসে এই চুক্তি সাক্ষরিত হবার কথা৷
‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট' নীতির আওতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বায়নের অর্জনগুলিকে যেখানেই সম্ভব বাতিল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছেন৷ বহুপাক্ষিক চুক্তির বদলে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়াই তাঁর পছন্দ৷ তিনি ক্ষমতায় আসার আগে অতীতের প্রশাসনগুলি অ্যামেরিকার স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, এমনটাই তিনি অভিযোগ করে থাকেন৷ এই মনোভাবের কারণে তিনি একতরফাভাবে ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত উত্তর অ্যামেরিকার বাণিজ্য চুক্তি ‘নাফটা' বাতিল করেছিলেন৷ এবার নতুন করে দরকষাকষি চালিয়ে ‘অ্যামেরিকার স্বার্থ' রক্ষা করে আবার সেই জোটে যোগ দিতে রাজি হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন৷
মেয়াদ অনুযায়ী রবিবার রাতের মধ্যেই এ ক্ষেত্রে ঐকমত্যের প্রয়োজন ছিল৷ তা না হলে অ্যামেরিকাকে ছাড়াই ক্যানাডা ও মেক্সিকো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর ছিল৷ ওয়াশিংটনও মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের হুমকি দিচ্ছিল৷ অনেক আলাপ-আলোচনার পর ক্যানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর প্রতিনিধিরা শেষ মুহূর্তে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্ভব করলেন৷ নতুন এই বোঝাপড়ার নামও বদলে ফেলা হয়েছে৷ অংশগ্রহণকারী ৩ দেশের নামের আদ্যাক্ষর অনুযায়ী নতুন চুক্তির নাম ‘ইউএসএমসিএ’৷ অ্যামেরিকা ও ক্যানাডার প্রতিনিধিদের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, এই চুক্তির ফলে আরো উন্মুক্ত বাজার, আরো ন্যায্য বাণিজ্য এবং আরো মজবুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভব হবে৷ সেইসঙ্গে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণি লাভবান হবে, ন্যায্য শর্তে কর্মসংস্থান বাড়বে৷ উত্তর অ্যামেরিকার প্রায় ৫০ কোটি মানুষের উপকার হবে৷ আগামী নভেম্বর মাসের শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার কথা৷ তবে তার আগে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন৷
যে কোনো বহুপাক্ষিক চুক্তির মতো এ ক্ষেত্রেও সবপক্ষকেই কিছু না কিছু ছাড় দিতে হয়েছে৷ যেমন, ক্যানাডা তার কাঠ শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করতে পারলেও মার্কিন দুধ আমদানির ক্ষেত্রে সে দেশকে সীমান্ত উন্মুক্ত করতে হচ্ছে৷ মার্কিন গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রেও ক্যানাডাকে আরো উদার হতে হচ্ছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেও এমন কিছু আপোশ মেনে নিতে হয়েছে৷ তবে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ক্ষেত্রে ক্যানাডার সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া সম্ভব হয়নি৷ ফলে ক্যানাডাকে বাড়তি শুল্ক দিয়ে যেতে হবে৷
রবিবার স্বাক্ষরিত এই ত্রিপাক্ষিক চুক্তির সব খুঁটিনাটি বিষয় বিশ্লেষণ করার কাজ এখনো চলছে৷ তবে ট্রাম্প যে আসন্ন সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে এই উদ্যোগকে নিজের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরবেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ সূত্রঃ সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।