Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০০

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:১৭ পিএম

ইন্দোনেশিয়ার পালু শহরে শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরো পাঁচ শতাধিক মানুষ। নিহতের সংখ্যা আরো দ্রুত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসি’র।

শনিবার দেশটির দ্বীপ এলাকার পালু শহরে প্রায় ২০ ফুট উঁচু সুনামির পানির আঘাতে পালু শহরের একটি বিধ্বস্ত হাসপাতাল ও একটি বিপণিবিতানে এখনো অনেক মানুষ আটকে রয়েছেন বলে জানা গেছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রেডক্রস বলছে যে, ভূমিকম্পের কারণে ১৬ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। ভূমিকম্পে রাস্তা-ঘাট ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে ভমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দোঙ্গালার অবস্থা খুব বেশি জানা যায়নি। তবে রেডক্রস হুশিয়ারি দিয়ে বলেছে এটা একটা ট্রাজেডি কিন্তু অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।

গতকাল পালুর সমুদ্রসৈকতে কয়েকশ মানুষ একটি উৎসবে অংশ নিতে জড়ো হয়েছিলেন। সুনামির আঘাতে তাঁদের বেশিরভাগই প্রাণ হারিয়েছেন এবং ভয়াবহ এই সুনামি সামনে যা এসেছে, তা-ই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আজ রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করার কথা রয়েছে।

অন্যদিকে, ভূমিকম্পের সময় দোঙ্গালা শহরের একটি জেলখানা থেকে শতাধিক বন্দি পালিয়ে গেছে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে আর্ন্তজাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের পর মূলত উপকূলীয় এলাকায় এই সুনামির আঘাতেই বিপুলসংখ্যক মৃত্যু ঘটেছে। দোঙ্গালাসহ পালু শহরের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩০০ কিলোমিটারজুড়ে বহু ঘরবাড়ি, হাসপাতাল ও বিপণিবিতান ধ্বংস হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মানুষজন ছোটাছুটি করছে এবং শহরের সবচেয়ে বড় একটি মসজিদের ভবন ধসে গেছে।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, ‘সহযোগিতার জন্য ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে না বলা হলেও আমরা তাদের উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করতে চাই।’ এবিসি টেলিভিশনকে তিনি এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

গত শুক্রবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে তিন লাখ মানুষ অধ্যুষিত পালু শহরজুড়ে এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে পাশের মৎস্যজীবীদের শহর দোঙ্গালার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ভূমিকম্পে রাস্তাঘাট ধসে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

গত মাসেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পের কবলে পড়ে ইন্দোনেশিয়া। আগস্টের ৫ তারিখে আঘাত হানা ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ইন্দোনেশীয় ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ