Inqilab Logo

রোববার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভুল চিকিৎসায় শিশুর পায়ে পচন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রেশমা আক্তার (৮) নামের এক শিশুর পায়ে পচঁন ধরেছে। সে উপজেলার মক্রবপুর ইউপির টুয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। গত ৪ মাস ধরে লাকসাম উপজেলা সদরের ইউনিটি ট্রমা এন্ড জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তার এবং নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার শাহেদ আনোয়ারের ভুল চিকিৎসায় ডান পায়ে পঁচন ধরেছে বলে অভিযোগ করেন শিশুটির পরিবার। বর্তমানে শিশুটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের টুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় সিএনজি অটোরিক্সার ধাক্কা লেগে পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পায় শিশু রেশমা। ওইদিন তাকে চিকিৎসার জন্য লাকসাম ইউনিটি ট্রমা এন্ড জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা দেন ডাক্তার শাহেদ আনোয়ার ভুঁইয়া। তিনি ১ মাস চিকিৎসা দেওয়ার পর অপারেশনের মাধ্যমে পায়ের উরু থেকে চামড়া কেটে ক্ষতস্থানে প্রতিস্থাপন করেন। পরে আড়াই মাস অতিবাহিত হলে ক্ষতস্থানে চামড়া জোড়া না লেগে আস্তে আস্তে পুরো পায়ে পঁচন ধরে। বর্তমানে শিশুটির আক্রান্ত পা কেটে ফেলার আশঙ্কা করেন রেশমার পরিবার।
এ বিষয়ে রেশমার মা নার্গিস আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমার মেয়ের ডান পায়ে পঁচন ধরেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা: শাহেদ আনোয়ার ভূঁইয়া বলেন, রেশমাকে আমি অপারেশন করেছি। আমার চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমি যানিনা।

কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. মুজিবুর রহমান বলেন, শিশুটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটির অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে রয়েছে। শিশুটির পরিবার লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্ত ডাক্তার দোষী প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভুল চিকিৎসা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ