পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গত পাঁচ কার্যদিবসের তিন দিনই পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। দরপতনের কারণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান ম‚ল্য স‚চক কমেছে দুই শতাংশের ওপর। মূল্য সূচকের পাশাপাশি কমেছে বাজার ম‚লধন। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২৬ শতাংশের ওপরে। বাজার ম‚লধন কমেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।
এ নিয়ে টানা তিন সপ্তাহের পতনে ১০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হারালো ডিএসই। বড় অঙ্কের বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়েই ডিএসইর সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার ম‚লধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৫ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৮৯ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার ম‚লধন কমেছে তিন হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান স‚চক ডিএসইএক্স কমেছে ১২৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ স‚চকটি কমে ৩৩ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৬১ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ৭৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ টানা তিন সপ্তাহের পতনে ডিএসইর প্রধান ম‚ল্য স‚চক কমেছে ২৩১ পয়েন্ট। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৭১টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। দাম কমেছে ২৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির দাম।
এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৭৭৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২০৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা বা ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৮৪৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় তিন হাজার ৮৮৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে এক হাজার ৩৪ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ২৫৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ১৩৯ কোটি ৪৫ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস। লেনদেনে এরপর রয়েছে- শাশা ডেনিমস, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, বিবিএস কেবলস, ইনটেক লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং আমান ফিড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।