পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক সপ্তাহ যেতে না যেতে আবারো ১০ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।জেলাগুলো হল, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, দিনাজপুর, মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম ও সিলেট।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক অতুল সরকারকে জয়পুরহাটে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব সেবাষ্টিন রেমাকে গাইবান্ধায়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব বেগম সাবিনা ইয়াসমিনকে পঞ্চগড়ে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী আবেদ হোসেনকে ঠাকুরগাঁওয়ে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ড কে এম কামরুজ্জামান সেলিমকে চাঁদপুরে, স্থানীয় সরকার বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মো. মাহমুদুল আলমকে দিনাজপুরে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত উপসচিব আতাউল গণিকে মেহেরপুরে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে কুড়িগ্রামে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এম কাজী এমদাদুল ইসলামকে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্টেট পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর আগে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর বরগুনা, পিরোজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, নড়াইল, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, সাতক্ষীরা ও বগুড়ায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি হয়। সেদিন সরকারের উপ-সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়ো দেয়া হয়।
ভাঙনের কবলে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার ৫ ইউনিয়ন
নুরুল আবছার চেীধুরী, রাঙুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে : রাঙুনিয়ার উত্তরে পারুয়া ইউনিয়নের সৈয়দ নগর গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত খালের ভাঙন দেখা দিয়েছে। চলতি বর্ষাতে এই এলাকায় ভাঙনে বিলীন হয়েছে দেড় শতাধিক পরিবার। বিলীন হওয়ার অপেক্ষায় আছে হাজার পরিবার, তার মধ্যে মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান। আর মাত্র ২০ ফুট জায়গার মাটি সরে পড়লে বিলীন হবে উত্তর রাঙুনিয়ার যোগাযোগ মাধ্যম ডিসি সড়ক ও এর উপরে নির্মিত লাটি ছড়াব্রীজ।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, পারুয়া এলাকার সৈয়দ নগরসহ বিভিন্ন স্থানে ইছামতি নদী ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। সৈয়দ নগর থেকে পারুয়া লাবারড্যাম পর্যন্ত দুই কিলোমিটার নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক ঘর বাড়ি, ফসলি জমি, স্থাপনা নদীগর্ভে চলে গেছে। বর্তমানে ভাঙনে ঝুঁকিতে আছে উত্তর রাঙুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম ডিসি সড়ক। এই এলাকা দিয়ে মাত্র বিশ ফুট ভাঙলে নদীতে তলিয়ে যাবে উপজেলার উত্তর-দক্ষিণের পাঁচ ইউনিয়নের যোগাযোগ পথ পারুয়া ইউনিয়নের ডিসি সড়কটি। এছাড়া সড়কের উপরে নির্মীত লাঠিছড়া ব্রিজটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
আব্দুর গফুর নামে এক বৃদ্ধের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর রাঙুনিয়ার পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষ ইছামতি নদীর ভাঙনে কবলে পড়ে আছে। ভাঙন রোধে গত বছর স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. হাসান মাহমুদের সুপারিশ সংবলিত একটি আবেদন পত্র পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টকতৃপক্ষ। ভাঙনের ব্যাপারে নিয়াজী বাড়ী রাঙুনিয়া মানবাধিকার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার বলেন. ইছামতি ভাঙনে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের সমস্যা। যখন বৃষ্টি হয় সামন্য পানিতে ভরে উঠে। প্লাবিত হওয়া পানিতে সাধারণ বসতিদের হয়ে উঠে অসহনীয় যন্ত্রণা। নদী থেকে কিছু দূরত্ব থাকলেও নদীর ভাঙনে কবলে পড়েছে এই এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সৈয়দ নগর এলাকায় দাখিল মাদরাসা, এতিমখানা, হেফজখানা, তৈয়্যবিয়া একাডেমী, তালুকদার বাড়ী সড়ক, আলী সিকদার সড়কসহ ১২টি মসজিদ উল্লেখযোগ্য।
রাঙুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পারুয়া ডিসি সড়কসহ বিভিন্ন নদী ভাঙনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে তা রক্ষার ব্যাপারে প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।