বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইল-আরিচা মহাসড়ক নাগরপুরে বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে অতিরিক্ত বালু বোঝাই একটি ট্রাক নদীতে পড়েছে। এতে সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। গতকাল বুধবার সকালে টাঙ্গাইল-অরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের বারাপুষা নামক স্থানে নোয়াই নদীর উপর বেইলি ব্রিজে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটির চালক ও সহকারী তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন ও সড়ক বিভাগ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানা যায়, টাঙ্গাইল-অরিচা এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত ছোট বড় যানবাহন দৌলতপুর, ঘিওর, মানিকগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকাসহ আরিচা, পাটুরিয়া রুটে যান চলাচল করে। ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ায় এ মহাসড়কে চলাচলকারি যাত্রী সাধারন পরেছে চরম বিপাকে।
বেকড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন জানান, বুধবার সকালে নাগরপুর থেকে একটি অতিরিক্ত (ওভারলোড) বালু বোঝাই ট্রাক ভালকুটিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ট্রাকটি বারাপুষা বেইলি ব্রিজে উঠা মাত্র ব্রিজটি ভেঙ্গে ট্রাকসহ নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে ঢাকার সাথে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অবণর্নীয় দুর্ভোগে পড়েছে শত শত স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো জনসাধারণ। এদিকে যানচালাচল বন্ধ থাকায় নৌকাযোগে পরাপার হচ্ছে অনেকে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা শাহীন জানান, দুর্ঘটানার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি জনসাধারণের চলাচলের উপযোগি করতে সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনারোধে সেতুর এপার-ওপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) মো. ইমরান ইরফান বলেন, জনগুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করে ব্রীজটি চলাচলের উপযোগি করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ৭-৮ দিনের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিমুল এহসান বলেন, টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহা সড়কে বারাপুষা নোয়াই নদীর ওপর বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার খবর পেয়েছি। আজ (বৃহষ্পতিবার) থেকে ব্রিজ মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজটি চলাচলের উপযোগি করা হবে বলে দাবি করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।