Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

‘প্রতিভা খুঁজতে চাই প্রতি ঘরে ঘরে’

প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদের ২৫ দফার বিপরীতে নিজেদের ১৪ দফা ঘোষণা করলো কামরুল আশরাফ খান পোটন এমপি’র নেতৃত্বাধীন ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদ। গতকাল গুলশানস্থ স্থানীয় একটি পাঁচতারকা হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহারসহ ১৯ সদস্যের প্যানেলও ঘোষণা করলো এই পরিষদ। বাফুফে নির্বাচন উপলক্ষে এখন উত্তপ্ত দেশের ফুটবলাঙ্গন। সব জায়গায় একই আলোচনাÑকোন প্যানেল জিতবে নির্বাচনে? দু’পক্ষে হেভীওয়েট প্রার্থী থাকায় আগাম কিছুই বলা যাচ্ছে না। এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীও হয়েছেন ক’জন হেভীওয়েট। ফলে ফুটবলাঙ্গনের বাইরেও বাফুফে নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা। যা দেখা গেলো গতকাল। বাঁচাও ফুটবল পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা ও প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানে এমন সব অতিথি উপস্থিত ছিলেন যারা ক্রীড়া সংগঠক হলেও ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এমনও অতিথিকে সেখানে দেখা গেছে যিনি সরাসরি দেশের রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালক শেখ সোহেল, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, হানিফ ভুঁইয়া, বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু ও যুব লিগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী স¤্রাট উপস্থিত থাকায় ফুটবলবোদ্ধারা চমকে যান। রাজনীতিবিদ, সাবেক তারকা ফুটবলার ও সংগঠকদের সংখ্যাটাও নেহায়েত মন্দ ছিল না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, সাবেক তারকা ফুটবলার গোলাম সারোয়ার টিপু, শামসুল আলম মঞ্জু, আবু ইউসুফ, ওয়াসিম ইকবাল, ছাঈদ হাসান কানন, ক্রীড়া সংগঠক মোস্তাকুর রহমান ও মনজুর হোসেন মালুসহ অনেকে। নির্বাচনী  ইশতেহার পাঠ করেন ক্যাপ্টেন (অব.) মাহবুবুল মতিন।
জমকালো আয়োজনে বিশাল পরিসরে শুধু নির্বাচনী ইশতেহারই নয়, নিজেদের প্যানেলও ঘোষণা করলেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের। এই প্যানেলে কামরুল আশরাফ খান এমপি সভাপতি প্রার্থী হলেও মূলত ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মনজুর কাদের-লোকমান হোসেন ভুঁইয়ারা। ৩০ এপ্রিল বাফুফে নির্বাচনের আগে এ আয়োজনে ভালোই চমক দেখালেন তারা। এর তিনদিন আগে সাদামাটা আয়োজনে কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেও কাদের-লোকমানদের ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদ কিন্তু অনাড়ম্বর আয়োজনে চমক দেখায়। সালাউদ্দিনের প্যানেল ২৫টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেও ‘বাঁচাও ফুটবল’ প্যানেলে প্রাধান্য পেয়েছে ১৪ টি বিষয়। এই প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানের আহবায়ক হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন মনজুর কাদের। এরপর সহ-আহ্বায়ক লোকমান ভূঁইয়া প্যানেল সদস্যদের পরিচিতি তুলে ধরেন। সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ পূর্ণ প্যানেল দিলেও কাদের-লোকমানরা জমকালো আয়োজন করেও তা দিতে পারেননি। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদ প্রার্থী দিতে না পারায় সেখানে আগেই নির্বাচিত হয়েছেন সালাউদ্দিন প্যানেলের আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তবে সভাপতিসহ বাকি তিন পদেই প্রার্থী দিয়েছে ‘বাঁচাও ফুটবল’ প্যানেল। নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন এই প্যানেলের সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন। পোটনের প্যানেলের চার সহ-সভাপতি হলেন- নজিব আহমেদ, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, খুরশিদ আলম বাবুল এবং আলহাজ্ব একে এম মমিনুল হক সাঈদ। ১৪ জন সদস্য হলেন- আব্দুল গাফফার, শেখ মো. আসলাম, কায়সার হামিদ, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির, কামরুন নাহার ডানা, আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স, একেএম নওশেরুজ্জামান, টিপু সুলতান, আজফার-উজ জামান খান সোহরাব, মো. ইকবাল, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, সাইফুর রহমান মনি, ইমতিয়াজ সুলতান জনি এবং বিজন বড়–য়া।
এক সময় সালাউদ্দিনের ঘনিষ্টজন হলেও বেশ কিছুদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে কথা বলছেন মনজুর কাদের। কালও নিজের অবস্থানেই ছিলেন তিনি। ‘সালাউদ্দিন হটাও, ফুটবল বাঁচাও- এই শ্লোগান থেকে নড়েননি মনজুর কাদের। নিজ বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একজন সভাপতি চাই না যার অভাব নেই। এমন লোককে এই পদে দেখতে চাই না, যার ঘরে বাজার নেই, বাড়ি ভাড়া দেবার টাকা নেই বা গাড়ীর তেল কিনতে যাকে হাত পাততে হয়। যার অভাব আছে, এমন কেউ সভাপতি হলে তো দুর্নীতি করবেই।’ নিজ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটন সম্পর্কে কাদের বলেন, আমরা এমন একজন সভাপতি প্রার্থী ঠিক করেছি, যিনি শুধু ফুটবলকে দিতে এসেছেন নিতে নয়।’ পোটন ফুটবলের লোক নন, তিনি ফুটবলের কি উন্নতি করবেন? সম্মিলিত পরিষদের তোলা এমন প্রওশ্নের উত্তরে কাদেরের জবাব, ‘বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তো কোনদিন ক্রিকেট খেলেননি। অথচ নিজের মেধা, যোগ্যতা ও পরিকল্পনা দিয়ে আজ তিনি ক্রিকেটকে কতদূর নিয়ে গেছেন। ফুটবলের উন্নতি করতে চাইলে ফুটবলার হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
মুখে যাই বলুন না কেন মনজুর কাদের নিজে কিন্তু নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করে নেন। ‘বাঁচাও ফুটবল’ প্যানেল থেকে এই পদে কাউকে দিতেও পারেননি। প্রতিপক্ষ প্যানেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কাদের দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন ঠিকই, কিন্তু সেই প্যানেল থেকেই ইতোমধ্যে বিনা ভোটে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সালাম মুর্শেদী। যদি সালাউদ্দিন দুর্নীতিই করে থাকেন তাহলে তার প্যানেল থেকে কেন সিনিয়র সহ-সভাপতিকে বিনা ভোটে জিততে দিলেন কাদের। সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের উত্তরটা বেশ কৌশলেই দিয়েছেন এই ফুটবল সংগঠক। এ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আসলে ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদের অনেকের চাপে আমি এবং লোকমান ভূঁইয়া মনোনয়নপত্র কিনেছি। শুরু থেকেই আমার ইচ্ছা ছিলো না বাফুফে নির্বাচনে অংশ নেয়ার। মনোনয়নপত্র কিনে তা জমা দিয়ে অনেকটা ফান করেছি। আর দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুলের কথা বললে বলতে হয়, তিনি আওয়ামী লীগ নেতা। ব্যস্ত মানুষ। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী না দেওয়াটা আসলে আমাদের নির্বাচনী কৌশল বলতে পারেন।’
প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটন কাদেরের কথায় সুর মেলালেন। তিনি বলেন, ‘পাপন ভাই তো জীবনে ক্রিকেট খেলেননি অথচ আজ দেশের ক্রিকেটকে কোথায় নিয়ে গেছেন তিনি। ম্যারাডোনা ভালো ফুটবলার হলেও কোচ হিসেবে কিন্তু ব্যর্থ। ব্যবসায়ী হলে যে ফুটবলের উন্নতি করতে পারব না এটা ভুল। ব্যবসায়ীদের না আনলে কোনো খেলাতেই উন্নতিই সম্ভব নয়।’
নির্বাচিত হলে ইশতেহারে আনা ১৪টি বিষয়ের সবগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পোটন। এর বাইরেও কিছু অঙ্গীকার করেন তিনি। ১৩৪ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে প্রতি দুই মাস অন্তর ইজিএম, এজিএম করবেন। শুধু নির্বাচনকালে ভোটারদের কদর থাকবে এমন কথায় বিশ্বাসী নন পোটন। ফুটবলের প্রতিটি উন্নয়নে এবং বাজেটের কোন খাতে কত টাকা ব্যয় হচ্ছে সেটা ভোটারদের জানার অধিকার আছে বলে মনে করেন নরসিংদীর এই সংসদ সদস্য। পোটন আরো বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে স্পন্সরের কোনো সংকট হবে না। ফুটবলকে গ্রাম থেকে কেন্দ্রে নিয়ে আসব। তৃণমূল থেকে ফুটবলার তৈরী করবো।’ প্রতিপক্ষ কাজী সালাউদ্দিনকে কটাক্ষ না করে তাকে কিংবদন্তী ফুটবলার হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন পোটন। একই সঙ্গে নির্বাচনে যদি হেরেও যান তবে তাকে ডাকলে অবশ্যই ফুটবলের উন্নয়নে সালাউদ্দিনের পাশে থাকবেন বলে জানান ‘বাঁচাও ফুটবল’ পরিষদের সভাপতি প্রার্থী। শুধু তাই নয়, তিনি নির্বাচিত হলে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বাংলাদেশ সুপার লিগের (বিএসএল) কার্যক্রম বন্ধ হবে না বলেও জানান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, ‘কাদেরও আমার ছোট ভাই, সালাউদ্দিনও তাই। আর পোটন আমাদের সংসদ সদস্য। সালাউদ্দিন তো অনেকদিন ক্ষমতায় ছিল। একজন ভালো ফুটবলার। তার ওপর অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তিনি তা পূরণ করতে পারেননি। জেলায় জেলায় সেসব ভোটার আছেন আমি তাদেরকে বলব ‘বাঁচাও ফুটবল’ প্যানেলকে যেন তারা সমর্থন দেয়। এই প্যানেল জয়ী হতে পারলে ফুটবল অনেকদূর এগিয়ে যাবে।’
‘বাঁচাও ফুটবল’ প্যানেলকে জয়ী করতে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু, সাবেক তারকা ফুটবলার গোলাম সারোয়ার টিপু ও যুব লিগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ১৪ দফা নিয়ে ‘বাঁচাও ফুটবল’
১. আমরা বিশ্বাস করি যে কোনো সংগঠনের প্রশাসনিক ও আর্থিক নিয়ন্ত্রণে সুষ্ঠু জবাবদিহিতা একটি সংগঠনকে সংগঠিত করে। আপনারা আমাদের নির্বাচিত করলে আমরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়মতান্ত্রিক কার্যকলাপের অবসান ঘটিয়ে আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করব।
২. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে আয়োজিত যে কোনো ধরনের ফুটবল টুর্নামেন্ট হতে হবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, জাঁকজমকপূর্ণ, দেশ-বিদেশের জাতীয় দলগুলোর অংশগ্রহণে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা। ঠিক একইভাবে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের বিশিষ্ট ক্রীড়ানুরাগী ও ক্রীড়া সংগঠক এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী আবাহনী ক্লাবের জন্মদাতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য সন্তান শেখ কামালের নামেও সব ধরনের টুর্নামেন্ট হতে হবে মানসম্পন্ন এবং আড়ম্বরপূর্ণ। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
৩. ফুটবলকে আগের মতো দেশের গ্রাম পর্যায়ে ফিরিয়ে নিতে চাই। প্রতিভা খুঁজতে চাই প্রতিটি ঘরে ঘরে। এ জন্য জেলা লিগ নিয়মিতকরণ, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন, বিভিন্ন জেলায় কোচ নিয়োগ দিয়ে প্রতিভা অন্বেষণের মাধ্যমে যথাযথ পরির্চচা করে তাদেরকে দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৪. ডিএফএগুলোকে বছরে নিয়মিত অনুদানের মাধ্যমে ফুটবল খেলাকে সচল রাখার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ফুটবল সরঞ্জামাদি প্রদান ও ফুটবলের জন্য মাঠের ব্যবস্থা করা হবে আমাদের অন্যতম কাজ। লিগ ও টুর্নামেন্টের পাশাপাশি ঢাকার বাইরে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজন করার মতো জরুরী কাজগুলোতেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মনোনিবেশ করতে চাই।
৫. আমরা ফুটবল কার্যক্রমে জেলা ও বিভাগীয় সংগঠকদের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত করার প্রয়াসসহ রেফারির মানোন্নয়নে নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করব। বাফুফের প্রতিটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আনুপাতিক হারে জেলা ও বিভাগের কর্মকর্তাদের অন্তর্ভূক্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
৬.গ্রাস রুট লেভেলের ‘কোচেস এডুকেশন’ যুগোপযোগী এবং প্রফেশনাল লেভেলে আধুনিক কোচিং প্রোগ্রাম চালু করা হবে। কোচদের জন্য ফেডারেশন ভবনে একটি লাইব্রেরী স্থাপন এবং খেলোয়াড়দের জন্য জিমনেশিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনা আমাদের আছে।
৭. দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি ফুর্ণাঙ্গ একাডেমি তৈরির কার্যকরী উদ্যোগ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রত্যেক জেলায় ফুটবল একাডেমি পর্যায়ক্রমে চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৮. আমরা সিলেট একাডেমির সকল কার্যক্রম তড়িৎ সম্পন্ন করে এই একাডেমিকে আন্তর্জাতিক মানের রূপ দেব। ফিফা সুনামি ফান্ডের অর্থ এবং সরকার কর্তৃক জমি পাওয়ার পরও বরিশালে প্রস্তাবিত ট্রেনিং সেন্টার তৈরির কাজ এখন পর্যন্ত শুরু করেনি বর্তমান কমিটি। অতিসত্বর বরিশালে আন্তর্জাতিকমানের ট্রেনিং সেন্টার তৈরির পদক্ষেপ নেয়া হবে।
৯. এক সময় শেরেবাংলা ও সোহরাওয়ার্দী কাপ ছিল দেশের ফুটবলের অন্যতম সেরা ও আলোচিত টুর্নামেন্ট। নির্বাচিত হলে সেই টুর্নামেন্টগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
১০. কালেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খেলোয়াড় কোটা বন্ধ রয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তা পুনরায় চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং দেশব্যাপী নিয়মিত স্কুল ফুটবল আয়োজন করে সেখান থেকে প্রতিভাবানদের বাছাই করে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১১. আমাদের লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ক্লাবগুলোকে স্বনির্ভর ও প্রকৃতঅর্থে পেশাদার ক্লাব হিসেবে গড়ে তোলা। নির্বাচিত হলে অন্য লিগগুলোকেও আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ক্লাবগুলোকে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
১২. একসময় জেলা পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-৮ ও ১০ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের বেসিক ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। তা এখন পুরোপুরি বন্ধ। আমরা সে ট্রেনিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করব এবং একই সাথে জেএফএ কাপ (অনূর্ধ্ব-১৪) ফুটবল টুর্নামেন্ট পুনরায় চালু করা হবে।
১৩. অনিয়মিতভাবে চলমান মহিলা লিগের কার্যক্রম নিয়মিত করণের সকল সম্ভাব্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি মহিলা ফুটবল একাডেমির মাধ্যমে জেলাভিত্তিক জাতয়ি পর্যায়ের মহিলা খেলোয়াড় তৈরি করা হবে।
১৪. আমরা মনে করি ফুটবলের বর্তমান রুগ্ন চেহারা পাল্টে দিতে সকল নবীন ও প্রবীণ ফুটবলার, ক্রীড়া সংগঠক ও সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক ক্রীড়া সাংবাদিক ভাইদের সমন্বয়ে সেমিনার ও মতামতের ভিত্তিতে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। প্রতিনিয়ত এ ধরনের মত বিনিময় সভার আয়োজন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘প্রতিভা খুঁজতে চাই প্রতি ঘরে ঘরে’
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ