পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা দাবিতে এবার জাতীয় ঐক্য গড়তে যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে গঠন করা হচ্ছে এই ঐক্য কমিটি। প্রতিটি বিভাগেও থাকবে আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ কমিটি। আগামী দু’ একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে। আর এই কমিটির আহবায়ক করা হতে পারে তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে। এরপর একটি চূড়ান্ত সভা করে আগামী অক্টোবরের প্রথম দিকে মহাসমাবেশ করবেন তারা। এ নিয়ে আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবী সমিতির সম্মেলন কক্ষে সিনিয়র আইনজীবীদের এক বৈঠক হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন মত ও আদর্শে বিশ্বাসী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের তিনদফা দাবিতে আইনজীবীরা ঐক্য কমিটি গঠন করবেন। আইনজীবীদের জাতীয় ঐক্য নিয়ে একটি নাম দেয়ার প্রস্তাব করেন এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে আইনজীবীদের মহাসমাবেশ করার পক্ষে মত দেন। এছাড়াও প্রতিটি বিভাগে আইনজীবীদের কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও আইনজীবীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবীতে সুপ্রিম কোর্ট দেশের সকল আইনজীবীকে জাতীয় ঐক্যে সম্পুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন। সভায় আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য সিনিয়র আইনজীবীদের মধ্যে ৫ জনকে নিয়ে একটি সভাপতি মন্ডলী করার পরামর্শ দেন। এই কমিটির আহ্বায়ক করার জন্য তারা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নাম প্রস্তাব করেন।এছাড়াও সাবেক আইন মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের নামও প্রস্তাবে উঠে এসেছে। সিনিয়র আইনজীবীদের কমিটি ছাড়াও আরেকটি কমিটি থাকবে। আন্দোলনকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য উভয় কমিটি একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পরবর্তী সভা করে মহাসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। প্রয়োজনে একজনের অনুপস্থিতিতে যেন আরকজন নেতৃত্ব দিতে পারেন। তিনদফা দাবীতে আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে এ সমাবেশ করার প্রস্তাব রাখা হয়। এছাড়া দু’একদিনের এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হয়।
সভায় তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান, আমাতুন নুর পান্না ও গণফোরামের মহাসচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, রাজনীতিবীদদের পাশাপাশি দেশের সকল আইনজীবীদের মধ্যে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে শক্তিশালী একটি ঐক্য প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হোক। আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি, দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের তিনদফা দাবিতে আইনজীবীরা একমত হয়েছেন। আগামী দু’ একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, যেসব দাবী আদায় করতে গিয়ে খালেদা জিয়া আজ কারাগারে ঠিক একই ইস্যুতে সকল আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আজ ভুলুন্ঠিত। তাই যেসব দাবীতে রাজনৈতিক দলের জাতীয় ঐক্য গঠন করা হয়েছে সেই ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আইনজীবীদের ঐক্যের বিকল্প নেই।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।