পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বন্যার্তদের পাশে ত্রাণ পৌঁছাতে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো বেদনায় তাদের স্মরণ করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সময়ে যারা প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছিল তাদের স্মরণ করেনি। এসময় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৫০ হাজার এবং ১৫ আগস্টের প্রতিরোধকারীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবি করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আমার জীবনের বিপর্যয়ের মাস। বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যা না করা হলে জাতির ভাগ্য আরো উন্নত হতো।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর জন্য কান্নাকাটি করা ও তার জন্য কথা বলে মুখে ফেনা তোলার লোকের অভাব নেই। তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে অভাব ছিল। শুধু তাই নয়, সেদিন অনেকেই দাঁত বের করে হেসেছিল।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম বলে মোশতাক ও জিয়া সরকার আমাদের দুষ্কৃতকারী বলেছে। কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যদের নামে মামলা দেয়া হয়েছে। বিচারের নামে অবিচার করা হয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাই বর্তমান সরকারও আমাদের দৃষ্কৃতকারী মনে করেন কি না। তা স্পষ্ট করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধের কাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান বলেন, ১৫ আগস্টের প্রতিরোধকারীদের স্বীকৃতি দিতে হবে। সরকারের সব মহলের কর্মকর্তাদের বেতন বেড়েছে তাই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ৫০ হাজার টাকা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, যা ঢাকা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে না। সে তুলনায় সরকারের অতিরিক্ত ত্রাণ দুর্গত এলাকায় পৌঁছেনি। এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীকে তিনি পদত্যাগের আহ্বান জানান। অন্যথায় তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্তের আহ্বান জানান তিনি। তা না করলে দেশের দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ না দেয়ার ব্যর্থতা সরকারের ওপর বর্তাবে।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ১২ লাখ মানুষ মারা গেলেও পাকিস্তানের হৃদয় গলেনি। এবারের দৃশ্যও অনেকটা সে রকম। অতিরিক্ত ত্রাণ দেয়া না হলেও নিয়মিত নিয়ে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা ভাগাভাগি করছে।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এখনই উদ্যোগ নিয়ে তাদের সহযোগিতা ভাঙন রোধে পরিকল্পনা নিয়ে ওই এলাকার জনগণকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সাবেক এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। দল আজ চরদখলকারীদের হাতে বেদখল হয়ে গেছে। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ দেইনি। তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যার কারণেই জন্মদিন পালন থেকে বিরত থাকেন তবেই আমি ধন্যবাদ দেবো। তিনি জাতির হৃদয় স্পর্শ করবেন। জনগণ তাকে জড়িয়ে রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।