পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আমরা এবার খালি মাঠে গোল দিতে দেব না। জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা মাঠে থাকবো। আসুন ১ অক্টোবর থেকে প্রস্তুত হয়ে যান।
সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ‘জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১’ এর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে অপসারণ করতে হলে সারা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। মাঠে নামতে হবে। জনগণের জোয়ার এই সরকারকে দেখাতে হবে এবং তা দেখবে সরকার। তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণ করে এই সরকারকে অপসারিত করব। তা করব শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের মাধ্যমে, কোনো ভায়োলেন্সের মাধ্যমে নয়।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, যখন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ড. কামাল হোসেন এবং ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাহেব শুরু করলেন তখন তারা (আওয়ামী লীগ) স্বাগত জানালেন। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, সুদখোরদের নিয়ে ঐক্য তৈরি করা হয়েছে, এরা জনগণের জন্য কিছু করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই ধরনের অশালীন বক্তব্য আমরা কখনোই আশা করি না। এতে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে এই সরকার আতঙ্কিত হয়েছে, বিচলিত হয়েছে এই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখে। সে কারণে আজকে তাদের গাত্রদাহ। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের কেউ এটা সহ্য করতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে মওদুদ বলেন, আপনি এই বক্তব্য প্রত্যাহার করুন। তা না হলে রাজনীতিতে কোনো শালীনতা আর থাকবে না। কারণ দুর্নীতির কথা যদি বলেন, তাহলে বর্তমান সরকারের চাইতে আমাদের গত ৫০-৬০ বছরে এমনকি পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে কোনো সরকার এত দুর্নীতি করে নাই। আর আজকে আমাদেরকে আপনি দোষারোপ করছেন। ক্ষমতাসীনরা যেভাবে সমালোচনা করছেন, তাতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা।
তিনি বলেন, এটা একটা স্বৈরাচার সরকার। তাদের আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা কী রকম সেটা আমরা এখন বুঝতে পারছি। আর তিন মাসও বাকি নাই।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে গঠিত জাতীয় ঐক্য দেশের মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাবে বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে ড.কামাল হোসেনের ডাকে আমাদের দলের সিনিয়র নেতারা সমাবেশে গিয়েছিলেন তারা বাংলাদেশকে কালো অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখানোর জন্য গিয়েছিলেন। সে আলোর পথের যাত্রীরা কখনো থেমে থাকতে পারে না।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জালিম সরকার ক্ষমতায় আছে তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদেরকে রাস্তায় নামতেই হবে। যদি ভোটের অধিকার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হয়। দেশের মেহেনতি কৃষক শ্রমিক সর্বসাধারণের নেত্রী কারাগারে ধুকে ধুকে মরবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব এটা হয় না। এটা নিজের সাথে নিজের প্রতারণা। এটা কোন ভাবেই হতে পারে না।
জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফউদ্দিন বুকুল, আবদুস সালাম আজাদ, রফিক শিকদার, জাসাসের শাহরিন ইসলাম শায়লা বক্তব্য দেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।