পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী ঘুষখোর ও সুদখোররা সব আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়েছে। তারা যদি ক্ষমতায় আসতে পারে তবে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় রোববার সেখানকার আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সরকারপ্রধান যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা সব এক জায়গায়। কেউ সুদখোর, কেউ ঘুষখোর, কেউ মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত, কেউ খুনি। এভাবে সব আজকে এক জায়গায়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত। তারা যে অর্থ বিদেশে পাচার করেছিল আমরা তা ফিরিয়ে এনেছি। এখন ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মাহমুদুর রহমার মান্না এই দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে নিয়েই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন।
সমাবেশে ব্যরিস্টার মইনুল হোসেনের উপস্থিতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাদের সঙ্গে গেছেন মইনুল হোসেন। তিনি আবার কাকরাইলের বাড়ির জমি দখল করেন, সে জায়গা নিয়ে সাজু হোসেন বনাম রাষ্ট্রের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন মইনুল হোসেন।
আর ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করে এক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি নিজের ভাইয়ের নামে দখল নেওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ অভিযুক্ত। কিন্তু তৎকালীন সামরিক শাসক এইচ এম এরশাদ তাকে ক্ষমা করে দিয়ে নিজের সরকারে অর্ন্তভূক্ত করেছিলেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এমডি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরও তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ ছাড়েন না। কারণ, এমডির পদ ছাড়লে তো গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা মারা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ব্যক্তিরা ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সম্পদ লুট করবে, দেশকে ধ্বংস করবে এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের বাহিনীতে পরিণত হবে। তাই উন্নয়ন চাইলে আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
নতুন পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই ডিজিটাল জিনিস যেমন- মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাব ব্যবহার করছে যার ভাল এবং খারাপ উভয় দিক রয়েছে। আমরা এই সবের অপব্যবহার রোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই আইনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা যে প্রচারণা চালাচ্ছে তা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য। ডিজিটাল জিনিস ব্যবহারের কারণে তৈরী হওয়া সামাজিক কোন সমস্যার বা অপব্যবহারের দিকে দৃষ্টিপাত করছে না। সম্প্রতি নিরাপদ সড়কের দাবিতে সৃষ্ট ছাত্র আন্দোলনে ডিজিটাল অপপ্রচারের বিষয় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বিধায় অনেক সংখক পত্রিকা এবং টেলিভিশনের অনুমোদন দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিগগির ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্র্র্তৃৃপক্ষের সঙ্গে যা কথা হচ্ছে, সরাসরি ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক আসতে পারবো।
নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এই সংবর্ধনায় আরো উপস্থিত চিলেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. দিপু মনি, দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।