Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পানিপথ নির্মাণ পরিকল্পনা ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৫:২০ পিএম

বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৮ রাজ্যে পানিপথ করিডোর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এ করিডোর নির্মাণে তাদের খরচ হবে ৫০০০ কোটি রুপি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে ৮টি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই পানিপথ করিডোরের দৈর্ঘ্য হবে ৯০০ কিলোমিটার। এই পথ ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে ফ্রেইট পানানো হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। এই পানিপথ শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে। সুন্দরবন হয়ে তা গিয়ে বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে মিশবে। তারপর ওই পানিপথ ব্রহ্মপুত্র হয়ে যুক্ত হবে আসামের সঙ্গে।
ভারতের শিপিং সেক্রেটারি গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, “এই প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে তা ভারতের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সংযুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে। আর ফ্রেইট পরিবহনেও খরচ কমে যাবে অনেক বেশি।”
বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখন্ডের মহাসড়কের যোগাযোগ একেবারে অনুপযোগী। তা ছাড়া সড়কের কারণে পণ্য পরিবহনে খরচ ও সময় লাগে অনেক বেশি।
মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, আলোচিত পানিপথ বাস্তবায়ন করা গেলে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে শতকরা ৭০ ভাগ। এরই মধ্যে হলদিয়া ও এলাহাবাদের মধ্যে পদ্মা নদীতে সরকার একটি পানিপথ উন্নয়নে কাজ করছে। এর দৈর্ঘ্য ১৬২০ কিলোমিটার। খরচ পড়ছে ৪৫০০ কোটি রুপি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যেও ব্যবহার করা হবে এই পানিপথ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে ৪০৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত। এর মধ্যে ১১১৬ কিলোমিটার নদীবিধৌত।
গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, “বাংলাদেশ শিপিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের বন্দরগুলো ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে।” তিনি বলেন, “ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কলম্বো অথবা সিঙ্গাপুরের পরিবর্তে বাংলাদেশ এখন তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। কলম্বোতে আমাদের কন্টেইনার চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কারণ, এখন এসব কাজ আমাদের বন্দরগুলোতেই হচ্ছে।”
সম্প্রতি মন্ত্রণালয় বিদেশী জাহাজগুলোকে ভারতের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। কৃষ্ণ বলেছেন, “দীর্ঘ মেয়াদে পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে দুটি বন্দর উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত, যাতে তা ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়।” সূত্রঃ ইকোনমিক টাইমস।



 

Show all comments
  • Amir ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:০৪ পিএম says : 1
    tista chukti bad die onnanno bisoy alochona nirorthok.
    Total Reply(0) Reply
  • AI ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:১৮ পিএম says : 0
    স্থল পথ এবং জল পথ আস্তে আস্তে সব ব্যবহার করা হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jack Ali ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:৫১ পিএম says : 0
    We liberted our country,sacrifice millions life. But a group hijacked our liberation and sold our beloved country without a penny. I asked our fellow people to stand up and liberate our country from the clutch of any group who are corrupt.
    Total Reply(0) Reply
  • আবদুল হান্নান ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:২৩ পিএম says : 0
    বন্ধু ভারত, শুধুু নিতে জানে---- দিতে জানেনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ