Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উইঘুর মুসলিমদের ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য উত্তর চায় অ্যামনেস্টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৫:১২ পিএম

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের অবস্থা সম্পর্কে বেইজিংয়ের কাছে বিশ্বাসযোগ্য উত্তর দাবি করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সোমবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশি এ সংক্রান্ত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উইঘুর মুসলমানদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। এমন চারটি দেশের অন্তত ১০০ উইঘুরের সঙ্গে কথা বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তারা সবাই জানিয়েছেন, জিনজিয়াংয়ে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না। আবার এদের মধ্যে অনেকে চীনা কমিউনিস্ট সরকারের দমন-পীড়নের শিকার হয়ে ওইসব দেশে গেছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ ব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনের সবগুলোতেই উইঘুর মুসলমানদের ওপর চীনা কর্তৃপক্ষের নানা দমন-পীড়নের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে। তাদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। ধর্মীয় কর্মকাণ্ড তথা নামাজ, রোজা এবং কুরআন পড়ায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের যেসব আত্মীয়-স্বজন পরবাসে আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আল্লাহর আনুগত্যের পরিবর্তে তাদেরকে চীনের কমিউনিস্ট প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তথা কমিউনিস্ট আদর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ জন্য তাদের সকাল-বিকেল নানা গান বা স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। কেউ মানতে না চাইলে তাদের ওপর নেমে আসছে নৃশংস অত্যাচার।
এসবের উদ্বৃতি দিয়ে অ্যামনেস্টি বলছে, চীনা কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায় ও সেখানকার কাজাখ ও হান মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর যে নীপিড়ন চালাচ্ছে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
সাক্ষাৎকার দেওয়া ওইসব উইঘুরদের উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলছে, এখন সময় এসেছে চীনা কর্তৃপক্ষের বিশ্বাসযোগ্য তথা আস্থাশীল জবাব দেওয়ার যে, সত্যিকার অর্থেই উইঘুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলমানদের ক্ষেত্রে কী ঘটছে?
তবে চীনা কর্তৃপক্ষ অ্যামনেস্টির এই গবেষণার ব্যাপারে এখনও কোনো জবাব দেয়নি। এর কয়দিন আগে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের ব্যাপারেও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি বেইজিং।
তবে যেসব অভিযোগ উঠেছে, এর আগে তা প্রত্যাখ্যান করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তারা বরং বলছে, উইঘুর মুসলমানরা খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে। তাদের বন্দি করা নয়, বরং কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের অথনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে সরকার। সূত্রঃ আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ