পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ড. কামাল হোসেন, বি. চৌধুরী, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের পর বেশ চাপে রয়েছে আওয়ামী লীগ। আর জোটের রাজনীতির গুরুত্ব বাড়ায় তোড়জড় বেড়েছে ক্ষমতাসীন শরিকদের। আগামী নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার আগে শিঘ্রই জোটের অভ্যন্তরীন জটিলতা দূর করা, আসন ভাগাভাগি, জোটের পরিধি বৃদ্ধি এবং নানা চাওয়া-পাওয়ার পুরনো হিসেব মিলিয়ে মাঠে নামতে চায় ক্ষমতাসীন শরিকরা।সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে জোটের রাজনীতিতে ছোট দলগুলোর কদর বাড়ে। বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে যুক্তফ্রন্টের ঐক্য হওয়াতে বেশ চাপে পড়েছে আওয়ামী লীগ।
হাই প্রোফাইল রাজনীতিবিদদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের জোটে ভিড়তে যেসব ছোট দলগুলো চেষ্টা করছে তার মধ্যে সাবেক বিএনপি নেতা ব্যরিস্টার নাজমুল হুদা ছাড়া হাই-প্রোফাইল বা পোর্টফলিও পরিচিত রাজনীতিবিদ নেই। তাই জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়তে হলে পুরনো জোট সঙ্গিদের নিয়েই মাঠে নামতে হবে আওয়ামী লীগকে। যদি জোট সঙ্গিদের পাশে না রাখে তাহলে আওয়ামী লীগ একঘরে হয়ে গেছে এমন আওয়াজ তুলবে বিরোধীরা। এমনাবস্থায় জোটের পুরনো হিসেব মিলিয়েই মাঠে নামতে চায় আওয়ামী লীগ শরিকরা। দীর্ঘদিন ধরেই আসন ভাগাভাগি সম্পন্ন করতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহবান জানাচ্ছে শরিক দলগুলো। কিন্তু বিএনপির নির্বাচনে আসা না আসার বিষয়টি নিশ্চিত না জেনে শরিকদের এ দাবি নিয়ে কোন কথা বলেনি আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবার দাবি দাওয়া নিয়ে সবর হবে তারা।
দলগুলোর নেতাদের বক্তব্য, আগামী নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে না লড়াই করলে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা কঠিন হবে। এজন্য জেলায় জেলায় সম্মিলিত সমাবেশ করে ক্ষমতাসীনদের ঐক্যের বার্তা জনগণের কাছে পৌছে দিতে হবে। তবে সবার আগে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সুরাহা চায় তারা। কিন্তু জোটের পরিধি বৃদ্ধির বিষয়ে কিছুটা অসম্মতি রয়েছে যা প্রকাশ্যে না বললেও আকারে ইঙ্গিতে তা বলার চেষ্টা করছেন নেতারা। জোটের পরিধি বাড়লে পুরনো জোট সঙ্গিদের ভাগ কমবে কিনা সে বিষয়েও কথা বলবেন শরিক নেতারা।
এ নিয়ে আজ ১৪ দলের বৈঠকে আলোচনা তুলবেন শরিক নেতা। বৈঠকটি ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সম্মিলিত সমাবেশ, জোটের মনোনয়ন, জোটের পরিধি বৃদ্ধি নিয়ে মূলত আলাপ আলোচনা হবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া ইনকিলাবকে বলেন, জাতীয় ঐক্যের গঠনের পরবর্তী ১৪ দলের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হবে। এছাড়া আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হবে।
কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম-আহবায়ক অসীত বরণ রায় ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কোন কোন জায়গায় ১৪ দলের সমাবেশ করা যায় এবং তা সফল করার বিষয়ে কথা হবে। এছাড়া নির্বাচনে আগে জোটের দলগুলোর ভূমিকা ও কাজ কি হবে তা নিয়েও আলোচনা হবে।
জাটের অন্যতম ইসলামি শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাঁদপুরি বলেন, শরিক দলগুলো বর্তমানে ঢালাও ভাবে আসন দাবি করছে। আমরা দাবি করবো নির্দিষ্ট আসনগুলোর তালিকা করে তা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেবার জন্য। এ অনুযায়ী আলোচনা করে অতি শিঘ্রই সমাধান করার জন্য যাতে করে আমরা মাঠে সময় দিতে পারি এবং শরিক প্রার্থীরাও নিশ্চিতভাবে প্রচারণা চালাতে পারে। আর এ নিয়ে মন কষাকষিও যেন দূর হয়।
এদিকে নতুন করে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়নি ক্ষমতাসীন জোটের কোন দল। সেজন্য আওয়ামী লীগের উপর নির্ভরতা আরো বাড়লো জাসদ-আম্বিয়া, গণতন্ত্রী পার্টি, গণ আজাদী লীগ, বাসদ, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের। নিবন্ধন পেলে আওয়ামী লীগের কাছে তাদের দাবি দাওয়ার পরিমাণও বেড়ে যেত। কিন্তু এখন তা আর হচ্ছে না।
তবে দীর্ঘদিন জোটের রাজনীতি করার কারণে এই দলগুলোর কিছুটা প্রত্যাশা এ নির্বাচনে একটু বেশি। তারা মনে করেন, এবার প্রধানমন্ত্রী তাদের আশাহত করবেন না।
এদিকে যেসব আসনে দলগুলোর প্রার্থী রয়েছে সেসব স্থানে জোটের সমাবেশ চায় শরিকরা। এছাড়া নির্বাচন করতে চায় এমন আসনগুলোতে সমাবেশ করে দলের শক্তি প্রদর্শন করতেও ব্যস্ত তারা।
তবে সর্বপরি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বাইরে কোন পদক্ষেপ নেবে জোটের দলগুলো। তাই দলের বাইরেও শরিক এমপি প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।