বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিস আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেছেন, কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়েই স্বৈরশাসনাধীন রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। গত শনিবার বিকেলে তমদ্দুন মজলিসের মহানগর মিলনায়তনে ঢাকা আলিয়ার সাবেক প্রিন্সিপাল ড. এ কে এম ইয়াকুব হোসেনের সভাপত্বি ‘মুহররম অন্যায়ের বিরুদ্ধে আদর্শের সংগ্রাম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তারা একথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল গফুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. ঈসা শাহেদী। আলোচক হিসেবে ছিলেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন খান, ম. মিজানুর রহমান, এরতাজ আলম, কবি শাহ সিদ্দিক, এড. তাহমিন রানা, শেখ মোঃ উসমান গনি, কবি রুহুল আমিন মুন্সি, কবি সাইদ জুবায়ের, কবি শেফালি দৌউসী, মোঃ তাওহিদ খান, মুহাম্মদ সুজন মাহমুদ ও হৃদয় হাসান রত্ম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তাগণ বলেন, ওই দিনটি (১০ মহররম) প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তি-মানসে শোক দিবস হিসেবে চিহ্নিত। এই দিনে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালার মরুভূমির প্রান্তরে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হযরত হোসেন (রা.) কে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে ইয়াজিদ। হযরত মোয়াবিয়া (রা.) পরবর্তী খলিফা হিসেবে ইয়াজিদকে মনোনয়ন করাই ছিল ইসলামী শাসন ব্যবস্থার মূলে কুঠারাঘাত। কারণ হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মৃত্যুর পূর্বে কাউকে তার উত্তরাধিকার মনোনিত করে যাননি। তিনি জনগণের উপর তার উত্তরাধিকার নির্বাচনের ভার ছেড়ে দিয়ে যান। সেই মতেই প্রথম চারজন উত্তরাধিকারী (খোলাফায়ে রাশেদীন) গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু উমাইয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মোয়াবিয়া (রা.) খিলাফত লাভের সাথে সাথে বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। ৬৭৬ খ্রিস্টাব্দে বসরার শাসনকর্তা হযরত মুগিরার প্ররোচনায় তিনি তার বড় পুত্র ইয়াজিদকে তার উত্তরাধীকার মনোনিত করে ইসলামী শাসনব্যবস্থার মর্মমূলে চরম কুঠারাঘাত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।