Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মৃত ব্যক্তির নামে ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

অবশেষে গতকাল রোববার পর্যন্ত আত্মসাৎকৃত টাকার আংশিক ফেরত দিয়েছে বলে সমাজসেবা অফিসার জানিয়েছেন। সরকারি দলের এক নেতা ও সমাজসেবা অফিসের দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে ঝিনাইগাতীতে মৃত ব্যক্তির নামে বয়স্কভাতার টাকা উত্তোলনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, শেরপুরের ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়নের ঝিনাইগাতী গ্রামের মৃত ছাইতন নেছার সোনালী ব্যাংক ঝিনাইগাতী শাখার অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা উত্তোলন করা হয়। ছাইতন নেছার স্বামীর নাম মৃত আইরদ্দি। ছাইতন নেছার ছেলে মো. শাহজাহান মৃত মায়ের নামে টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ছাইতন নেছার নামে বয়স্কভাতার কার্ড হয়েছিল, কিন্তু সে কার্ড হাতে পাওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ করেন। ফলে তার ভাতা উত্তোলন করা হয়নি। বয়স্কভাতার কার্ড নম্বর ৪/৫৩৩ এবং সোনালী ব্যাংকের হিসাব নম্বর ১০১৯১। অথচ ওই কার্ডের বিপরীতে সোনালী ব্যাংকের হিসাব থেকে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ৭৮০০ টাকা এবং একই বছরের ২৪ আগস্ট তিন হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। শাহজাহান জানান, ‘আমার মৃত মার নামে টাকা কার্ডে অন্যের ছবি লাগিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আমি ইউএনও বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি।’ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘কার্ডধারীর নামে ১৮ মাসের টাকা জমা ছিল। স্থানীয় সরকারি দলের এক নেতা কার্ডটি অফিস থেকে রিসিভ করে নিয়ে গেছে টাকাটা তুলে নমিনির হাতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে।’ তবে বয়স্কভাতার কার্ড নমিনি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির হাতে দেয়ার নিয়ম আছে কিনা এ ব্যাপারে সমাজসেবকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ‘লিখিতভাবে তেমন কোনো নিয়ম নেই। তবে যিনি নিয়েছেন তিনি সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা, তাই তাকে কার্ড দিতে হয়েছে।’ অথচ কিভাবে ১৮ মাসের ভাতা মৃত ব্যক্তির নামে উত্তোলন করা হলো তারও তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সোনালী ব্যাংক, ঝিনাইগাতীর ম্যানেজার এ কে এম শরিফ উল্লাহ বলেন, ‘হিসাব নম্বর ১০১৯১ থেকে টাকা উত্তোলন হয়েছে। সমাজসেবা কার্যালয়ের তালিকা ও কার্ড দেখে আমরা টাকা বিতরণ করে থাকি। আমাদের পক্ষে কার্ডধারী মৃত না জীবিত তা জানা সম্ভব হয়ে উঠে না।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ জানান, ‘এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
যে কর্মকর্তা নীতিমালা না মেনে মৃত ব্যক্তির কার্ড অন্যের হাতে তুলে দিলেন সেই কর্মকর্তাকেই তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলে সেটা সঠিক হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, ‘প্রাথমিক সত্যতা নিরুপনে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যদি কোনো ত্রুটি থাকে তবে আমি কর্তৃপক্ষকে জানাব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ