মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তীব্র বিতর্কের মধ্যে রবিবার মালদ্বীপে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আর এই ভোটের দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রেখেছে একদিকে ভারত। অন্যদিকে চীন। তার মাঝ দিয়ে ক্ষমতাকে আরো পাঁচ বছর সুদৃঢ় করার পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন, যার ওপর আশীর্বাদ রয়েছে চীনের। অন্যদিকে তার বিরোধী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ হলেন ভারত ও পশ্চিমা ঘেঁষা। ফলে দুই প্রান্তে অবস্থান করছে ভারত ও চীন। অন্যদিকে এ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। মালদ্বীপের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির যদি উন্নতি না হয় তাহলে দেশটির বিরুদ্ধে তারা অবরোধের হুমকি দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানোর অভিযোগ আছে। স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভোটের আগে বিরোধীদের প্রধান কার্যালয়গুলো ঘেরাও করে তল্লাশি করেছে পুলিশ। এমন অবস্থায় স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এখানে বসবাস করেন ৪ লাখেরও বেশি মানুষ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রবল। ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ সহ বিরোধী দলীয় ৯ জনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বাতিল করে দেয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। ওই অভিযোগ বাতিল করে দেয়া দু’জন বিচারকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। এতে স্পষ্ট হলো যে, প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন তার শাসনের বিরুদ্ধে কোনো চ্যালেঞ্জকে সহ্য করবেন না। ফলে তার গৃহীত কর্মকান্ডে সমালোচনার ঝড় ওঠে ওয়াশিংটন, লন্ডন ও নয়াদিল্লিতে। ভারতে অনেকে ছোট্ট এই দেশটিতে হস্তাক্ষেপের দাবি জানান। এমনকি নির্বাসন থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ সামরিক হস্তক্ষেপের দাবি জানান ভারতের প্রতি। কিন্তু তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় চীন। তারা ভারত মহাসাগরে তাদের নতুন বাণিজ্যিক রুট তৈরি ও প্রভাব বিস্তারকে বড় করে দেখে। এ জন্য তারা পাকস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছেন। এর মধ্য দিয়ে এসব দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব বন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার চেষ্টা করে তারা। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের অধীনে মালদ্বীপ বড় বড় প্রকল্পগুলোতে চীনা অর্থকে স্বাগত জানায়। তারা চীনের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। ফলে অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে চীনারা বেশি সংখ্যায় মালদ্বীপ সফর করছেন। সূত্রঃ রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।