ভারতের মধ্যপ্রদেশ হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে দুর্বল হয়ে পড়া নিম্নচাপটির তেমন প্রভাব বাংলাদেশের আবহাওয়ার ওপর নেই। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভারতের দক্ষিণ উড়িষ্যামুখী গভীর নিম্নচাপটি অল্প সময়ের জন্য একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘দেয়ী’ নামক ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে দুর্বল গভীর নিম্নচাপ ও নিম্নচাপ আকারে স্থলভাগে অগ্রসর হয়। সমুদ্র স্বাভাবিক হয়ে আসায় চট্টগ্রামসহ দেশের বন্দরসমূহের ওপর সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে।
এদিকে গভীর নিম্নচাপের বর্ধিত প্রভাবে গতকালও (শনিবার) দেশের বিভিন্ন স্থানে হিমেল হাওয়ার সাথে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় কোনো বৃষ্টি হয়নি। তাপমাত্রা কমে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ অস্বাভাবিক বেশি থাকায় গরমে ঘামের বিড়ম্বনা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় তেঁতুলিয়ায় ২৮ মিমি। এ সময় ঢাকায় ৩ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটি ও ফেনীতে ৩৪.৫ ডিগ্রি সে.। ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৩.২ এবং ২৫.৬ ডিগ্রি সে.।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
আজ (রোববার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।