মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাফাল-রিলায়্যান্স ‘কেলেঙ্কারি’ নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলল ফরাসি সরকার। জানাল, ওই চুক্তিতে সহযোগী হিসেবে ভারতের কোন সংস্থাকে বেছে নেবে যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‘দাসো অ্যাভিয়েশন’, সে ব্যাপারে ফরাসি সরকারের কোনও ভূমিকাই ছিল না। যদিও প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের মূল অভিযোগ ছিল, ভারত সরকার তাঁদের উপরে রিলায়্যান্সকে চাপিয়ে দিয়েছিল। ফরাসি সরকারের সামনে তা মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এ ব্যাপারে কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে থাকল ফরাসি সরকার। প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্টের মূল অভিযোগকে খণ্ডন করল না। ফলে, দিনের শেষে এই ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অস্বস্তি একটুও কমল না।
শুক্রবার রাতে এক বিবৃতিতে ফরাসি সরকারের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘‘রাফাল যুদ্ধবিমান-চুক্তিতে সহযোগী সংস্থা হিসেবে ভারতের রিলায়্যান্স ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ (অনিল অম্বানীর সংস্থা)-কে বেছে নেওয়ার ব্যাপারে ফরাসি সরকারের কোনও ভূমিকাই ছিল না। আমাদের বলা হয়েছিল শুধু ওই যুদ্ধবিমানগুলির গুণগত মান আর সেগুলি যাতে নির্ধারিত সময়ে ভারতের হাতে পৌঁছয়, তা সুনিশ্চিত করতে।’’
প্যারিসের ওই সরকারি বিবৃতি থেকে এটা স্পষ্ট যে, কোনও চুক্তিতে অন্য দেশের কোন সংস্থাকে তারা সহযোগী সংস্থা হিসেবে বেছে নেবে, সে ব্যাপারে ফরাসি সংস্থাগুলির স্বাধীনতা রয়েছে।
এখানে প্রশ্ন উঠছে, যদি তাই হয়, তা হলে ভারতের ‘চাপিয়ে দেওয়া’ অনিল অম্বানীর সংস্থাকে সহযোগী হিসেবে মেনে নিতে ‘দাসো’কে ‘বাধ্য হতে’ হল কেন? অম্বানীর সংস্থাকে কি ‘দাসো’র উপর ‘চাপিয়ে দিয়েছিল’ তদানীন্তন ফরাসি সরকার? ফরাসি সরকার ও ‘দাসো’-র বিবৃতি এ ব্যাপারেও অস্পষ্ট থেকেছে।
রাফাল যুদ্ধবিমান বানায় যে ফরাসি সংস্থা, সেই ‘দাসো অ্যাভিয়েশন’-এর তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘চুক্তিটি ভারত ও ফ্রান্স এই দুই সরকারের মধ্যে হলেও, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সহযোগী সংস্থা হিসেবে ভারতের রিলায়্যান্স ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজকে আমরাই বেছে নিয়েছিলাম।’
ওলাঁদ প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই ৫৮ হাজার কোটি টাকার রাফাল-চুক্তি হয়। তিনি আজ যা বলেছেন, ঠিক সেটাই বক্তব্য রাহুল গাঁধীর। কংগ্রেস সভাপতির দাবি ছিল, যুদ্ধবিমান তৈরির কোনও অভিজ্ঞতা না-থাকা, বিপুল দেনায় জর্জরিত অনিলের সংস্থাকে রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত পাইয়ে দিয়েছেন মোদীই। তাঁর টুইটে রাহুল লিখেছেন, ‘ওলাঁদের দৌলতে জানলাম, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে কোটি কোটি ডলারের চুক্তি দেউলিয়া অনিল অম্বানীকে পাইয়ে দিয়েছেন। তিনি দেশকে ঠকিয়েছেন। জওয়ানদের রক্তকে অসম্মান করেছেন।’ সূত্রঃ এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।