রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে চলতি বছরে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশানুরূপ ফলন ও ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে আখের চাষ হয়েছিল ১৫০ হেক্টর। তার মধ্যে চলতি মৌসুমে মতলব উত্তরে আখের চাষ হয়েছে ১৬০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে জাত (বিআরআই-৪১) ৯০ হেক্টর ও (বিআরআই-৪২) ৭০ হেক্টর। এ ছাড়া মেস্ত্রিমালা ও অমৃত জাতের আখের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি আখের জমিতে উৎপাদন হয় ৮০ মে.টন। সেচ প্রকল্পের উঁচু জমিগুলো পলি ও দোআঁশ মাটির পরিমাণ বেশি থাকায় আখের ফলন ভালো হয়। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। চাহিদার চেয়েও মূল্য বেশি পেয়ে কৃষকরা একদিকে যেমন খুশি, অন্যদিকে প্রতি বছরই আখচাষের দিকে কৃষকরা ঝুঁকছেন। উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ফরাজীকান্দি, হলদিয়া, লেদামদী, মাথাভাঙ্গা, পাঁচআনী, কলাকান্দা, হানিরপাড়, গজরা, ছেংগারচর, কেশাইর কান্দি, কালিপুর, নিশ্চিন্তপুর, শিকিরচর, বারআনী, নান্দুরকান্দি, লবাইরকান্দি, বেগমপুর, ফতেপুর ঘনিয়ার পাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় আখের চাষ হয়েছে। কৃষকরা এখন আখ তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
স্থানীয় বাজারগুলোর পাশাপাশি শহরের পাইকারদের কাছে কৃষকরা আখ বিক্রি করছে। চাঁদপুর, কুমিল্লা, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে পাইকাররা এসে মিনি ট্রাক ও ট্রলার যোগে আখ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা প্রতিটি আখ পাইকারি ১০-১২ টাকা বিক্রি করলেও খুরচা বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ২০-৪০ টাকা দরে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, জমিতে আখ ক্রয়ের পর জমি থেকে উত্তোলন ও বিক্রি পর্যন্ত অনেক খরচ। অনেক সময় লোকসান দিতে হয়।
হানির পাড় গ্রামের আখচাষি বাবুল মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় ১০-১২ বছর আগে ব্যাপকভাবে আখ চাষ হতো। কৃষক একটি আখ দুই-তিন টাকা বিক্রি করতে পারত না। কৃষকের খরচ উঠত না বলে মাঝ খানে আখের আবাদ কমে গিয়েছিল। এখন ফলন ভালো হয়। দামও ভালো। এ এলাকা গুড় তৈরি হতো না। এখন গুড় তৈরি হচ্ছে। আখ চাষে আমারা এখন লাভবান হওয়ায় চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন বলেন, তথ্যমতে সেচ প্রকল্প নির্মাণের পর এ এলাকায় ব্যাপক আখের চাষ হয়েছে। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকরা আখ চাষে ঝুঁকছেন। এখন আবার চাষ বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।