পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচের এলাকা ও সড়কের দুই পাশ জুড়ে গড়ে ওঠেছে অবৈধ স্ট্যান্ড। এতে ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রায় ১ কি.মি. জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ গাড়ির পার্কিং। মহিপাল থেকে জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের স্থায়ী কাউন্টার না থাকায় সড়ককে স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। ফলে ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পরও যানজট থেকে লেগে আছে।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, মহিপালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে ফেনী পৌরসভার তত্ত¡াবধানে একটি বাসস্ট্যান্ড চালু ছিল। এ স্ট্যান্ড ইজারা দিয়ে বার্ষিক মোটা অংকের টাকা নেয় পৌরসভা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বর্তমানে সে স্ট্যান্ডে গাড়ি রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বড় বড় গর্ত আর খানা খন্দে স্ট্যান্ডটিতে এখন আর গাড়ি ঢোকে না। ফলে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচের সড়ক এখন স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ফেনী থেকে নোয়াখালী সুগন্ধা কিং ও সুগন্ধা দ্রæতযান সার্ভিসের প্রায় ১শ বাস, লক্ষীপুরগামী যমুনা, নোয়াখালী রোডের যাত্রীসেবা, বসুরহাট এক্সপ্রেস, বারইয়ারহাটগামী বাস, সোনাগাজীগামী বাস বর্তমানে মহিপাল ফ্লাইওভার ছাড়াও উত্তর দিকে রেলওয়ে ওভারপাস আর দক্ষিণ দিকে হাজী নজির আহম্মদ সিএনজি ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত স্ট্যান্ড করে থাকে।
লোকাল গাড়ি ছাড়া দূরপাল্লার বেশিরভাগ যানবাহন মহিপালের ৬ লেনের ফ্লাইওভার দিয়ে চলাচল করে। ফলে নিচের চার লেনের সড়কটিকে পার্কিং আর স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে বাস মালিক ও চালকরা। সড়কে স্ট্যান্ড করাকে কেন্দ্র করে প্রশাসন ও মন্ত্রী-এমপির নাম বিক্রি করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও লাইন সমিতি।
অবৈধ স্ট্যান্ড টিকিয়ে রাখতে গাড়ি প্রতি নামে-বেনামে আদায় করা হচ্ছে মোটা অংকের চাঁদা। সুগন্ধা কিং, সুগন্ধা দ্রæতযান সার্ভিস ও যমুনা পরিবহন থেকে গাড়ি প্রতি দৈনিক ২শ টাকা আদায় করা হয়। এ টাকা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৌঁছে দেন বলে জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মালিক সংগঠনের এক নেতা। এদিকে মহিপাল থেকে স্থানীয় ও দূরপাল্লার বাস ছাড়াও বিভিন্ন রুটে কয়েক হাজার সিএনজি চলাচল করে। নোয়াখালীমুখী মহিপাল সড়কের একাংশকেই এসব গাড়ির মালিক ও চালকরা স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করছে।
বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট প্রশাসনের নাম বিক্রি করে এ স্ট্যান্ড টিকিয়ে রেখেছে। সিএনজি প্রতি দৈনিক লাইন খরচ, পৌর টোল, শ্রমিক চাঁদা মিলিয়ে ৭৫ টাকা আদায় করা হয় বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চালকরা। এ সড়কে দ্রæতগতির বিভিন্ন পরিবহনের বাস চলাচল করে। মহিপালে সড়কের একাংশে সিএনজি স্ট্যান্ড হওয়ায় এখানে যানজট যেন নিত্যসঙ্গী।
এছাড়া প্রতিনিয়ত ঘটে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা। এসব দেখার কেউ নেই। ট্রাক ও পিকআপ সড়কের দুই পাশে দাড় করিয়ে মালামাল ওঠা-নামা করার ফলে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। অবৈধ এসব স্ট্যান্ডে গাড়ি পার্কিং করে রাখলেও বিষয়টি দেখার কেউ নেই। অভিযোগ রয়েছে এসব অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে মাসোয়ারা নেয় পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা এসব গাড়ি দেখেও না দেখার ভান করে।
এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও টিভিতে সচিত্র প্রতিবেদন করা হলেও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কারণে তা বন্ধ হচ্ছে না। এ বিষয়ে জানতে মহিপাল হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল আউয়ালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শহরের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব ট্রাফিক পুলিশের। তার অংশে কোনো অনিয়ম হলে তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।
ফেনী আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দীন বাবলু জানান, মহিপালে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ডের ব্যাপারে বার বার পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হলেও কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ফলে গাড়িগুলো রাস্তায় পার্কিং করা হচ্ছে। মহিপালে অবৈধ স্ট্যান্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ইনকিলাবকে জানান, আমি আপনাদের সাথে একমত পোষণ করছি যে গাড়ি রাখার জন্য নির্ধারিত একটি বাসস্ট্যান্ড আছে। তারপরও সড়কের উপর অবৈধ গাড়ি পার্কিং ও স্ট্যান্ড করে রাখে এটি খুবই দুঃখজনক। মালিক শ্রমিকের নেতা কর্মী ও পুলিশকে বার বার বলা শর্তেও তারা এসব বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।