মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি বছরের মার্চ মাসে চীনের একাডেমি অব সাইন্স (সিএএস) জানায় যে তারা পাকিস্তানকে একটি এডভান্সড মিসাইল ট্রাকিং সিস্টেম দিয়েছে। সিএএস’র অপটিকস এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগ এটি তৈরি করেছে। সিস্টেমটির নাম এখনো জানা যায়নি, সম্ভবত পাকিস্তান বিষয়টি গোপন রাখতে চায়। এটি হলো একটি বড় আকারের অপটিক্যাল ট্রাকিং এন্ড মেজারমেন্ট সিস্টেম। এই সিস্টেম পাকিস্তানকে শত্রুর ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের পাশাপাশি নিজের তৈরি ক্ষেপনাস্ত্রগুলো অনুসরণের ব্যাপক ক্ষমতা দেবে। নিখুঁত এই ট্রাকিং সিস্টেম কোন ক্ষেপনাস্ত্রকে অপরিকল্পিত পথে সরে যেতে দেবে না, ফলে তা ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
এই সিস্টেমে চারটি অপটিক্যাল ট্রাকিং টেলিস্কোপ রয়েছে যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষেপনাস্ত্রের গতিপথ অনুসরণ করতে পারে। একই সঙ্গে টার্গেটের উপর চোখ রাখা ও ইমেজ রেকর্ডিং করতে পারে। সাধারণ ক্ষেপনাস্ত্র ট্রাকিং ব্যবস্থায় দুটি টেলিস্কোপ থাকে। ফলে পাকিস্তানের হাতে পাওয়া ব্যবস্থাটি অনেক উন্নত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কয়েকশ’ কিলোমিটার দূর থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারে এর প্রতিটি টেলিস্কোপ। চারটি ভিন্ন স্থানে টেলিস্কোপগুলো বসানো হলেও এটমিক ক্লকের মাধ্যমে এগুলোর সময় সিনক্রনাইজ করা। ফলে পাকিস্তান তার নিজের ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের নির্ভুলতা যাচাই করে সেগুলোর নিখুঁত আঘাত হানার ক্ষমতাও বাড়াতে পারবে। এই সিস্টেম পরিচালনার ব্যাপারে ইতোমধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা গাইডেন্স ও প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। তারাই এগুলো পরিচালনা করছে।
এই সিস্টেমে রয়েছে ক্ষেপনাস্ত্রের গতিপথ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা বা সিনথিওডলিট। এতে হাই-স্পিড ক্যামেরা ও লেজার-ট্রাকিং ব্যবহার করা হয়। ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য এটা খুবই জরুরি। এতে ইনফ্রারেড ডিটেকটর ও সেন্ট্রালাইজড কমপিউটার সিস্টেমও রয়েছে।
এই সিস্টেম পাকিস্তানের নিজস্ব মাল্টিপল ইনডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেল (এমআইআরভি) তৈরির কাজে গতি আনবে বলে ধারণা করা হয়। ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়াতে পাকিস্তান এগুলো তৈরি করছে। এই ব্যবস্থা ২,২০০ কিমি পাল্লার আবাবিল ক্ষেপনাস্ত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে।
সম্প্রতি পাকিস্তান ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা ও উন্নয়নের একটি ‘রিং রেঞ্জ’-এ চীনের কাছ থেকে পাওয়া ট্রাকিং সিস্টেম মোতায়েন করেছে বলে সিএএস’র গবেষক ঝেং মেনগুয়ে জানিয়েছেন। এই সিস্টেম ব্যবহারকারীর প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে বলেও সিএএস জানায়। পাকিস্তানের নিজস্ব তৈরি ব্যবস্থা থেকে চীনের ব্যবস্থাটি বহুগুণ উন্নত ও জটিল। সূত্রঃ সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।