পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ-ভারত মধ্যে তেল পরিবহন পাইপলাইনটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানাগেছে, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনের অধীন ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে সেকশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মিত হলে সমন্বতি ও গতিময় ট্রেন সার্ভিস প্রবর্তনের মাধ্যমে শহরতলী এবং অন্যান্য জেলা গুলোর যাত্রী সাধারণের রাজধানী ঢাকায় স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সময় সাশ্রয়ী যাতায়াত সম্ভব হবে। প্রকল্পটিতে ভারতীয় এলওসি বরাদ্দ ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। বাংলাদেশ সরকার ২০৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। যাত্রী সাধারণের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক সংখ্যক ট্রেন চালু করার লক্ষ্যে ঢাকা-টঙ্গি সেকশনে ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। ফলে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। চুক্তির মেয়াদ কাজ শুরর তারিখ হতে ৩৬ মাস। এতে এমব্যাংকমেন্ট সহ ৯৬ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মিত হবে। এছাড়া কালভার্ট ২৫টি, প্ল্যাটফর্ম ৬টি, প্ল্যাটফর্ম সেড ৬টি, ফুটওভার ব্রিজ ১২টি, স্টেশন বিল্ডিং ৪টি এবং অন্যান্য পূর্ত কাজ করা হবে।
এদিকে ভারতের আসামের নুমালিগড় তেল পরিশোধনাগার থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর তেল ডিপো পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইনটি নির্মাণ করা হবে। এজন্য বাংলাদেশেকে ৫২০ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেবে ভারত। কয়েক বছর ধরে দেশের মধ্যে তেল পরিবহন ব্যবস্থায় পাইপলাইন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি পাইপলাইন নির্মাণের কথা থাকলেও ওই প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। যদিও এর মধ্যেই বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে জ্বালানি তেলের পাইপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ এবং জ্বালানিখাতে সহায়তা সম্প্রসারণের জন্য ২০১০ সালে উভয় দেশ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বিদ্যুৎখাতে সহায়তা সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়।এছাড়া জ্বালানিখাতে তেল আমদানি ও এলপিজি সম্প্রসারণ বিষয়ে নানা প্রকল্প নিয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এরমধ্যে নুমালিগড় তেল পরিশোধনাগার থেকে ডিজেল কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি। পরিবহন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও তেল পরিবহনের ঝামেলা সামাল দিতে উভয় দেশ পাইপলাইন নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশে আনা হয়। দেশের বাৎসরিক জ্বালানি চাহিদা প্রায় ৬০ লাখ মেট্রিক টনের মধ্যে ১৫ লাখ মেট্রিক টন দেশে পরিশোধন করা হয়। অবশিষ্ট পরিশোধিত তেল আমদানি করে বিপিসি। দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে চুক্তির পর ২০১৬ সালের ১৯ জুন ভারত থেকে প্রথম ট্রেনে করে জ্বালানি তেল আসে।
বিপিসি’র চেয়ারম্যান মো. আকরাম-আল- হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, ভারত এই প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ করবে। আমরা শুধু আমাদের অংশে জমি অধিগ্রহণ করে দেবো। আমরা হিসাব করে দেখেছি, আমাদের ব্যারেল প্রতি এক দশমিক ৮৭ ডলার সাশ্রয় হবে। চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এখন তেল আমদানিতে প্রতি ব্যারেলে ৩ দশমিক ১৫ ডলার প্রিমিয়াম দিয়ে থাকি। এছাড়া বহির্নোঙ্গর থেকে চট্টগ্রাম হয়ে থেকে খুলনার দৌলতপুর পর্যন্ত নৌপথে পরিবহন করতে হয়। এরপর রেলওয়েতে পার্বতীপুর পর্যন্ত নিতে আমারে ব্যারেল প্রতি সাড়ে সাত ডলার খরচ হয়। আবার ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিতেও খরচ হয়। সব মিলিয়ে এই খরচ ব্যারেল প্রতি দাঁড়ায় সাত দশমিক ৩৭ ডলার। এখন ভারতকে আমরা প্রতি ব্যারেলে সাড়ে ৫ ডলার করে প্রিমিয়াম দিলেও বাৎসরিকভাবে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা লাভ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।