পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা বলেছেন, নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ভারত কাজ করছে। প্রয়োজনের সময় ভারত বন্ধুত্বের চেতনায় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে আগামীতেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের দু’দেশের সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস, বন্ধুত্ব, শহীদের আত্মত্যাগ কিংবা যে কোন কৌশলগত সম্পর্কের উর্ধ্বে।
সোমবার দুপুরে উখিয়ার বালুখালি-১২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হর্ষবর্ধণ শ্রিংলা বলেন, দমণ নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে ভারত কাজ করছে। নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের দু:খ দূর্দশা বুঝতে পারে ভারত। এসব বাস্তুচ্যুতদের সহায়তায় বাংলাদেশের ভুমিকাও প্রশংসনীয়। নির্যাতিত মানুষের সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে ভারত মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি জানান। শ্রিংলা আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যে আড়াই শতাধিক বসতবাড়ি নির্মাণ করছে ভারত। এর কাজ প্রায় শেষ। এছাড়া মংড়ুর কিং সাং নামক গ্রামে ৫০ টি বাড়ি ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে। এসব বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে উৎখাত হওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহায়তা করা। তিনি বলেন, গত এক বছরে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়া বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এই মানবিক আচরণ ভারত ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে বাস্তুচ্যুত মানুষের ঢল শুরু হওয়ার মুহুর্ত থেকেই বাংলাদেশের পাশে ছিল ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন লিটার সুপার কেরোসিন তেল এবং ২০ হাজার কেরোসিন স্টোভ ত্রাণ হিসেবে দেয়া হয়েছে।
ত্রান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি হাফিজ আহমেদ মজুমদার, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন এবং ভারতের যুগ্ম সচিব বিক্রম দোরাইস্বামী প্রমুখ। অনুষ্ঠানশেষে ২৫০ রোহিঙ্গাকে কেরোসিন তেল ও স্টোভ বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকা থেকে একটি ফ্লাইটে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান শ্রিংলার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে গাড়িযোগে যাত্রা করেন শ্রিংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।